Published : 16 Jan 2024, 02:36 PM
করোনাভাইরাসের চতুর্থ ডোজ হিসেবে আগামী দুই বছরে আরও আড়াই কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হবে দেশে।
এই আড়াই কোটির মধ্যে অর্ধেক দেওয়া হবে চলতি বছর। এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে এপ্রিল মাসে।
এছাড়া বাকি টিকা আগামী বছরে দেওয়া হবে বলে বলে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ষাটোর্ধ্ব, শিশু ও দীর্ঘমেয়াদী রোগে ভোগা ব্যক্তিদের পাশাপাশি সম্মুখ যোদ্ধারা এই টিকা পাবেন।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম’ এর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সচিব এ কথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন-গ্যাভির কাছে টিকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে। তারা টিকা সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে।
“আড়াই কোটি লোককে আমরা টার্গেট করেছি। ফ্রন্টলাইনার, শিশু, অসুস্থ্য ও বয়স্ক লোক এই টিকা পাবেন। আমাদের হাতে কিছু টিকা আছে। এছাড়া গ্যাভির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা আমাদের জানিয়েছে এ বছর তারা আমাদের এক কোটি টিকা দেবে। এই টিকা আমরা এই বছরই টার্গেটেড পিপলকে দিয়ে দেব। বাকি টিকা দেবে আগামী বছর।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, “স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাতে এখনও করোনাভাইরাসের কিছু টিকা আছে। ফাইজারের এই টিকা নতুন করোনাভাইরাসের নতুন টিকার বিরুদ্ধেও কার্যকর।
“কাজেই ফ্রন্টলাইনার যারা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি যাদেরকে প্রতিনিয়ত জনসমাগমে যেতে হয়। আমি মনে করি তারা চাইলেই করোনাভাইরাসের টিকার চতুর্থ ডোজ নিতে পারেন। এই টিকার মেয়াদ আগামী বছর পর্যন্ত আছে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, “কোভিড এখনও চলে যায়নি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনও রোগী পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশেও কিছু রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে।“
এজন্য বয়স্ক এবং দীর্ঘমেয়াদী রোগে ভোগা ব্যক্তিদের জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি। সেই সঙ্গে মুখে মাস্ক পরার ওপর জোর দেন।