বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস নির্মূলের লক্ষ্য ঠিক করেছে।
Published : 08 Nov 2022, 10:44 PM
দেশের প্রায় ৫ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস বহন করছে এবং এদের সবাই জীবনের যে কোনো একটা সময়ে ‘লিভার সিরোসিস’ বা ‘লিভার ক্যানসারে’ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
তারা বলছেন, বাংলাদেশে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ যকৃত ক্যানসার ও সিরোসিস এই ভাইরাসের কারণে হয়।
মঙ্গলবার ঢাকা ক্লাবে হেপাটাইটিস-বি নির্মূলে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১-এর কর্মসূচির উদ্বোধনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পড়েন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে যত রোগী ভর্তি হন, তাদের প্রায় ১০ থেকে ১২ শতাংশ যকৃতের রোগে আক্রান্ত। তাদের বেশিরভাগই আবার হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসজনিত।
ডা. স্বপ্নীল বলেন, “লিভারের রোগে আক্রান্ত হয়ে শুধু মৃত্যুই নয়, ব্যয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস নির্মূলে এসডিজি অর্জনের অঙ্গীকার করেছে।
“চ্যালেঞ্জটা পাহাড়সম। কোভিড আমাদের লক্ষ্য অর্জনের পথে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া লিভার বিশেষজ্ঞ আর বিশেষায়িত লিভার চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানেরও ঘাটতি রয়েছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মানুষকে সচেতন করা।”
তিনি বলেন, “পৃথিবীতে প্রতি ১২ জনে ১ জন মানুষ হেপাটাইটিস বি বা সি ভাইরাসে আক্রান্ত। তবে তাদের ১০ শতাংশ বিষয়টি জানেন না।
“এর বড় কারণ এই রোগীদের লিভার অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া পর্যন্ত রোগের তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। এজন্য সবার আগে জোর দিতে হবে জনসেচতনতা তৈরি এবং স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে রোগী শনাক্ত করায়।”
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রোটারি ক্লাবের ঢাকা ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ইঞ্জিনিয়ার এম এ ওয়াহাব বলেন, “এখন থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সচেতন করে তোলা এবং হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত করার জন্য রোটারির উদ্যোগে জেলাব্যাপী সচেতনতা ও স্ক্রিনিং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।”
বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।