Published : 26 Jun 2024, 10:16 PM
শুরুতে শনাক্ত হলে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে স্তন ক্যান্সার সারিয়ে তোলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা দেশে থাকার কথা তুলে ধরে এ বিষয়ে গ্রামের মায়েদের বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
স্তন ক্যান্সার রোগীদের বিষয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমার খুবই কষ্ট লাগে যখন গ্রাম থেকে মায়েরা আসেন ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে। তারা এত দেরিতে আসেন তখন তাদের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। এ জন্য যত দ্রুত সম্ভব ব্রেস্ট ক্যান্সার শনাক্ত করা সবচেয়ে জরুরি কাজ।”
রাজধানীবাসীর স্বাস্থ্য সেবার আওতা বাড়াতে শহীদ শামসুননেছা আরজু মণি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের শয্যা সংখ্যা ১০ থেকে ৫০টিতে উন্নীত করা হয়েছে।
বুধবার সকালে এ উপলক্ষে ঢাকার হাজারীবাগে হাসপাতালটিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “একটা ব্যাপার আমাদের দেশে কমন, যা সাধারণত মায়েরা অবহেলা করে; সেটা হচ্ছে ব্রেস্ট ক্যান্সার।
“আপনাদের (চিকিৎসক) কাছে যখন রোগী আসবে, তখন আপনারা খেয়াল করবেন ব্রেস্টে কোন লাম্প আছে কিনা। আপনারা যদি সে রকম কোন রোগী পান, তাহলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠাবেন। সেখানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ ব্রেস্ট স্ক্রিনিং এর সেরা ফ্যাসিলিটি আছে। আপনারা যদি এই রকম দশজন, পনেরজন করে রোগী পাঠান, আমরা বিনামূল্যে সব রকমের টেস্ট করে তাদের চিকিৎসা করব।”
শহীদ শামসুননেছা আরজু মনি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রকে আরও উন্নত মানের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সামন্ত লাল বলেন, “শেখ পরিবারের সাথে আমার আত্মিক সম্পর্ক। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, লেখক, সাংবাদিক ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির সহধর্মিণী একজন মহীয়সী নারীর নামে প্রতিষ্ঠিত এই কল্যাণ কেন্দ্রের উন্নয়নে যা যা করা দরকার সবই আমি করব। কারণ, দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নতির কোনো বিকল্প নেই।”
অনুষ্ঠানে অংশ নেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, যিনি পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট নিহত শামসুননেছা আরজু মণির ছেলে।
মেয়র তাপস বলেন, “আমরা দেখি, মৌলিক সেবাগুলো এমনকি সন্তানদের খতনা দিতে গিয়েও বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা যেন না হয় এবং জনগণ যেন মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা পায়, সেজন্য আমরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্ব দিচ্ছি।
“আপনারা জানেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অত্যন্ত সুচারুভাবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে চলেছে। আমাদের যে নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম, তা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের আওতায় চলমান রয়েছে, যা আগামী বছর শেষ হবে। কিন্তু প্রকল্প শেষ হলেও আমরা এই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই।“
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ বক্তব্য রাখেন।