স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চলতি মাসে এইডিস মশাবাহিত এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
সকাল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ২০৮ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি।
এর মধ্যে ঢাকার ৪৬টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭৩ জন; বাইরের হাসপাতালগুলোতে আরও ৩৫ জন।
সব মিলে এখন দেশে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগী আছেন ৮৭৩ জন।
তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৭১৬ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগে ১৫৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ১৯ হাজার ৫৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ হাজার ৫৯৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি। তবে জুলাই থেকে রোগী বাড়তে থাকায় গত তিন মাসেই ৭৩ জনের প্রাণ গেল এইডিস মশাবাহিত এই রোগে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮৪১ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর এতে প্রাণ গেছে ২৩ জনের।
এর আগে অগাস্ট মাসে ৭ হাজার ৬৯৮ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।
২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করায় এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন, এ বছরই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই ভাইরাস জ্বরে।
সে বছর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসা ২৬৬টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ১৪৮ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল আইইডিসিআর।
পরের বছর তা অনেকটা কমে আসায় হাসপাতালগুলো ১ হাজার ৪০৫ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছিল।