এই আশার বাণীর বিপরীতে নৈরাশ্যের আরেকটি সম্ভাবনাও থেকে যাচ্ছে। যদি টিকা তৈরি করা না যায়?
ঘরবন্দি মানুষের মন দুলছে আশা-নিরাশার খেলায়। বিশ্বের নানা প্রান্তে গবেষণা আর অগ্রগতির খবরে একবার জেগে উঠছে আশা, তা আবার নিভে যাচ্ছে হতাশার সংবাদে।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বাস্তব পরিস্থিতি উল্টে-পাল্টে দেখার চেষ্টা হয়েছে সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে।
কোভিড-১৯ যদি নির্মূল করা না যায়, মানুষকে এর সঙ্গেই বসবাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হবে। বিশেষজ্ঞরা সায় দিলে ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়া যেতে পারে। তাতে সীমিত আকারে মানুষের জীবন ও জীবিকাও সচল হতে পারে।
উপসর্গ দেখা দিলে বা সন্দেহমুক্ত হতে পরীক্ষা করানো আর আক্রান্তদের সংক্রমণের উৎস খোঁজার কাজটি তখন রুটিনে পরিণত করতে হবে। সব সময় মাথায় রাখতে হবে, যে কোনো সময় আসতে পারে সঙ্গনিরোধে যাওয়ার নির্দেশনা।
আক্রান্ত হলে সেরে ওঠার চিকিৎসা পদ্ধতিও হয়ত মানুষ তৈরি করে ফেলবে, কিন্তু ভাইরাসের প্রকোপ হয়ত প্রতিবছরই ফিরে ফিরে আসবে; সেই সঙ্গে বাড়তে থাকবে মৃত্যুর মিছিল।
এসব কথা রাজনীতিকরা বলছেন না। তারা আশার কথা শোনাচ্ছেন; বলছেন- মানব শরীরে টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মুদ্রার উল্টো পিঠটাও না দেখে পরছেন না। কারণ এর আগেও মানুষকে ব্যর্থতা স্বীকার করে নিতে হয়েছে, বহুবার।
কোভিড-১৯ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বিশেষ প্রতিনিধি বলেন, “টিকা তৈরি করা যাবেই- এমনটা ধরে নেওয়া আমাদের ঠিক হবে না। আবার যদি তৈরি করাও যায়, সেই টিকা কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা পরীক্ষায় সবগুলো স্তর উৎরে যেতে পারবে কি না- তাও দেখার বিষয়।”
নাবারোর পরামর্শ, যতদিন না নিশ্চিত কিছু পাওয়া যাচ্ছে, ততদিন এই ভাইরাসের ঝুঁকি সঙ্গে করেই যতটা সম্ভব জীবন ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে সবাইকে।
অবশ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকেই নতুন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। এর পক্ষে তাদের একটি যুক্তি, এইচআইভি বা ম্যালেরিয়ার জীবাণুর মত করোনাভাইরাস অত দ্রুত নিজের গঠন বদলে ফেলে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের পরিচালক অ্যান্থনি ফাউচির মত কারও কারও বিশ্বাস, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই চলে আসবে টিকা।
আবার ইংল্যান্ডের চিফ মেডিকেল অফিসার ক্রিস উইটি মনে করেন, এক বছরের মধ্যে টিকার আশা করাটা বেশি তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।
আবার টিকা যদি তৈরি করাও যায়, সব পরীক্ষা পার করে মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার কাজটি যে অতীতে কখনও মাত্র এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে করা যায়নি, সেটাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন হিউস্টনের বেইলর কলেজ অফ মেডিসিনের ন্যাশনাল স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিনের ডিন ডা. পিটার হটেজ।
তিনি সিএনএনকে বলেন, “কাজটা অসম্ভব নয়, কিন্তু এমনটা ঘটলে তা হবে নিঃসন্দেহে বিরাট এক সাফল্য হবে। আমাদের আসলে প্ল্যান-এর পাশাপাশি প্লান-বিও ভেবে রাখতে হবে।”
এইডসের ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয়, পরীক্ষার জন্য এইচআইভির প্রতিষেধক দুই বছরের মধ্যেই তৈরি করা সম্ভব হবে।
এরপর চার দশকে এইডস কেড়ে নিয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষের প্রাণ। কিন্তু এইচআইভির টিকার খোঁজে সফলতা মেলেনি।
বহু বছর পরিস্থিতি এমন ছিল যে, কারও এইচআইভি পজিটিভ আসা মানে কার্যত মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হয়ে যাওয়া। পরিবার, সমাজও জীবনের শেষ সময়টায় তাদের পাশে থাকত না। এদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করার আদৌ কোনো প্রয়োজন আছে কি না, তা নিয়ে খোদ চিকিৎসকদের মধ্যেও বিতর্ক হয়েছে।
তবে এইডসের টিকা তৈরির চেষ্টা থামেনি। ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন তার দেশের বিজ্ঞানীদের এক দশকের মধ্যে এই টিকা তৈরি করে দেখানোর চ্যালেঞ্জ নিতে বলছিলেন। আর আজ থেকে ১৪ বছর আগে বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, তাদের আরো বছর দশেক লাগবে এজন্য।
রোটাভাইরাসের টিকা যারা তৈরি করেছিলেন, সেই দলের সদস্য শিশু ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ পল অফিট বলছেন, এইডসের টিকা তৈরি হতে দেরি হচ্ছে এর ভাইরাসের বৈশিষ্টের কারণে।
“ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস প্রতি বছর নিজের রূপ বদলে নিতে পারে। তাই ওই সময় শরীরে তৈরি হওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পরের বার কাজ করে না। আর এইচআইভির ভাইরাস প্রতি সংক্রমণেই তার ধরন বদলে ফেলে।
“আক্রান্ত মানুষের ভেতরেই এটা নিজেকে বদলে নিতে থাকে। অর্থাৎ একজন এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাসের শতাধিক আলাদা ধরন থাকতে পারে। শরীরে বাসা বেঁধে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও নষ্ট করতে থাকে এইচআইভি।”
কেবল এইচআইভি নয়, আরও অনেক ভাইরাস মানুষ আর বিজ্ঞানীদের নাকাল করে টিকে আছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, প্রতি বছর প্রায় চার লাখ মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। এর টিকা আবিষ্কারে এক দশকেও সফলতা পাননি বিজ্ঞানীরা।
২০১৭ সালে এক টিকা কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিল। কিন্তু প্রয়োগের পর অনেক রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকলে শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করা হয়।
একইভাবে রাইনোভাইরাস ও অ্যাডেনোভাইরাসের টিকা তৈরির কাজটিও কঠিন, যেসব ভাইরাসের সংক্রমণে করোনাভাইরাসের মতই সর্দিজ্বরের মত উপসর্গ দেখা দেয়। দুই ধরনের অ্যাডেনোভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা তৈরি করা সম্ভব হলেও বাণিজ্যিকভাবে এর উৎপাদন হয় না।
লন্ডন ইমপেরিয়াল কলেজের ডা. নাবারো বলছেন, যে কোনো রোগের প্রতিষেধক তৈরি করা সহজ নয়।
“এখানে আমাদের বায়োলজিক্যাল সিসটেম নিয়ে কাজ করতে হয়, মেকানিক্যাল না। মানুষ শরীর কীভাবে সাড়া দেবে, তার ওপরই সব কিছু নির্ভর করে।”
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি শিম্পাঞ্জির শরীর থেকে ভাইরাস নিয়ে একটি টিকা তৈরি করেছে যা এখন পরীক্ষামূলকভাবে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনভিত্তিক বায়োটেক প্রতিষ্ঠান মর্ডানা আরেকটি ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে।
সার্সের টিকা বানানোর এক গবেষণায় যুক্ত হটেজ বলছেন, যেসব খবর আসছে তার সবই আসলে রয়েছে টিকা বানানোর পরীক্ষার পর্যায়ে, সত্যিকারের কোনো সাফল্য এখনও আসেনি।
“সবচেয়ে কঠিন কাজটি হচ্ছে, এই টিকা আসলেই কাজ করছে এবং এটা নিরাপদ- এটা প্রমাণ করা।”
যদি টিকার দেখা নাই মেলে তবে আরো অনেক বছর এই ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা নিয়েই বাস করতে হবে মানুষকে। এটা অনেকটা এইডসের রোগীদের ছকে বাঁধা জীবন যাপনের মত।
মানুষ টিকা তৈরি করতে না পারলেও প্রতিদিন সেবনের পিল তৈরি করতে পেরেছে, যা হাজার হাজার মানুষকে এইডস রোগের ঝুঁকি থেকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে।
কোভিড-১৯ এর চিকিৎসাতেও এরকম নানা বিকল্প পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কারণ টিকার গবেষণার পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুস্থ করে তুলতে কার্যকর হবে- এমন ওষুধ তৈরি করাও জরুরি। কিন্তু সব গবেষণাই রয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা ইবোলার ওষুধ রেমডেসিভির দিয়ে কোভিড-১৯ রোগীর সুস্থ হওয়ার সময় কমিয়ে আনার সম্ভাবনার কথা বলছেন। পাশাপাশি প্লাজমা চিকিৎসা কতটা কাজে দিতে পারে, তাও দেখা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনকে ‘গেইম চেঞ্জার’ বললেও গুরুতর অসুস্থ কোভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে এ ওষুধ কার্যকর হয়নি।
সিএনএনকে তিনি বলেন, পরীক্ষা হতে হবে নিয়ন্ত্রিত ও দৈবচয়ন ভিত্তিতে। পূর্ণাঙ্গ ট্রায়ালে কোনো ওষুধ যদি সম্ভাবনা জাগায়, তার আভাস পাওয়া যাবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেরে ওঠার ক্ষেত্রে কিছুটা ভালো ফলাফল মেলায় হাসপাতালে রেমডিসিভির ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে তারা।
কোনো ওষুধ সত্যি সত্যি সফল হলে তার প্রভাবও হবে বিস্তৃত। যদি কোনো ওষুধ রোগীর আইসিইউতে থাকার সময়কে কমিয়ে আনতে পারে, তাহলে হাসপাতালের সেবা দেওয়ার পরিসর বাড়ানো সম্ভব হবে।
তবে বাস্তবতা হল, প্রতিষেধক না পেলে কোনো চিকিৎসাই এই মহামারী ঠেকাতে পারবে না। রোগ সারাতে কার্যকর ওষুধ পেলে করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামাল দেওয়া হয়ত কিছুটা সহজ হবে, কিন্তু এ রোগ আমাদের সঙ্গে থাকবে বহু বছর।
টিকা যদি না মেলে, তাহলে মানুষের জীবনও শিগগিরই আর আগের মত হচ্ছে না।
নিল বলেন, “অর্থনীতির জন্য লকডাউন ভালো পদ্ধতি না; রাজনীতির জন্যও হয়ত না। এই মহামারী নিয়ন্ত্রণে আমাদের বিকল্প কিছু লাগবেই।”
অর্থ্যাৎ, সরকারগুলো যখন অচল অর্থনীতিকে সচল করার পথ খুঁজছে, বিশেষজ্ঞদের তখন এমন কোনো নতুন পথ খুঁজে দিতে হবে, যাতে টিকা আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি সামলে রাখার সময় পাওয়া যায়।
নাবারো বলেন, “আমাদের কোভিড-১৯ এর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হওয়া জরুরি।”
কীভাবে সেটা হওয়া যাবে?
নাবারো বলছেন, সমাজে চলার এক নতুন নিয়ম এখন তৈরি করতে হবে, যেখানে প্রতিটি দেশের প্রতিটি নাগরিক নিজের নিজের দায়িত্ব নেবেন। উপসর্গ দেখা গেলেই নিজেকে আলাদা করে ফেলবেন। সাধারণ সর্দি-জ্বরকে হেলাফেলা করে কাজে যোগ দেবেন না। অন্তত আরো কিছুদিন বাসা থেকে কাজ করতে হবে, যাদের পক্ষে তা করা সম্ভব। প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের কর্মঘণ্টা ভাগ করে দিতে হবে, যাতে কোনো বেলায় অফিসে কর্মীদের বেশি ভিড় না হয়।
নাবারোর ভাষায়, “আমাদের ব্যক্তিগত আচরণে বিশাল পরিবর্তন আনতে হবে, যেখানে আমরা সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব নেব। যিনি নিজেই সঙ্গনিরোধে চলে গেলেন, তাকে নায়ক হিসেবে দেখতে হবে, অছ্যুৎ নয়।”
তবে অনুন্নত দেশে জীবন যাপনে ওই পরিবর্তন আনা যে সহজ হবে না- নাবারো তা মানছেন। সেজন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো, বিশেষ করে যেখানে শরণার্থী আর অভিবাসীদের অবস্থান বেশি, সেসব দেশকে সহযোগিতা করাও জরুরি বলে তিনি মনে করছেন।
তিনি বলছেন, দ্রুত একটি জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে নিয়মিত করোনাভাইরাস পরীক্ষা এবং কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। তাতে মানুষকে ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও জীবন যাপনের তাগিদে বের হওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে।
হটেজ বলছেন, এরকম একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা অসম্ভব নয়, তবে অনেক জটিল, কারণ এরকম কিছু মানুষ এর আগে করেনি।
সেরকম করা গেলে প্রিমিয়ার লীগ, ন্যাশনাল ফুটবল লীগের মত আসরগুলো হয়ত শুরু করা যাবে। খেয়াল রাখতে হবে, খেলোয়াড়রা যেন নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যান এবং ভক্তদের সাথে ঘন ঘন মেলামেশা কমিয়ে দেন। আবার প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে স্টেডিয়াম বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
নিল বলেন, সামাজিক দূরত্ব মেনে রোস্তোরাঁও হয়ত খোলা যাবে। ইতোমধ্যে ইউরোপের অনেক রেস্তোরাঁ সীমিত পরিসরে খোলার আভাস দিয়েছে।
তবে নিষেধাজ্ঞার কড়াকড়ি আগামী শীতে আবারও ফিরিয়ে আনতে হতে পারে বলে ধারণা করছেন হটেজ। তার মতে, ভ্যাকসিন আসার আগ পর্যন্ত প্রতি শীতেই কোভিড-১৯ এর প্রকোপ বাড়ার ঝুঁকি থেকে যাবে।
“মাঝেমধ্যেই হয়ত প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে। তখন চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। হয়তো দেশের আংশিক অবরুদ্ধ হবে। অথবা পুরো দেশই অবরুদ্ধ রাখতে হবে।”
তবে এ পদ্ধতিকে ভালো কিছু বলে মানতে রাজি নন অফিট। তার মতে জনগণের মধ্যে ইমিউনিটি তৈরি করার সবচেয়ে ভালো উপায় হল টিকা।
হামের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, টিকা চালু হওয়ার আগে প্রতি বছর ২০ থেকে ৩০ লাখ মানুষের হাম হত। এটা করোনাভাইরাস মহামারীর বেলাতেও সত্যি হতে পারে।
অফিটের বিশ্বাস করোনাভাইরাস ঠেকাতে টিকা আসবেই।
“এখানে অর্থের অভাব নেই, আগ্রহেরও কমতি নেই। আর কী করতে হবে তাও বেশ স্পষ্ট।”
তবে আগের গবেষণাগুলোর অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “কোনো ভ্যাকসিনই রাতারাতি বানানো সম্ভব নয়। যদি ১৮ মাসে কোনো টিকা বানানো সম্ভব হয়, তাহলে আমি বিস্মিতই হব।”