মঙ্গলবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।
হ্যানকক বলেন, সাধারণ সময়ে টিকা তৈরির এ পর্যায়ে পৌঁছতে বছরের পর বছর লেগে যায়, এবার এখন পর্যন্ত যে কাজ হয়েছে তাতে তিনি গর্বিত।
মানবদেহে টিকাটির পরীক্ষা সফল হলে এবছর সেপ্টেম্বরে লাখ লাখ ডোজ টিকা বাজারে ছাড়া সম্ভব বলেই মনে করছেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনোলোজি অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট বলেন, কার্যকর একটি ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণায় সাধারণত ১৮ মাস লেগে যায়। তারপরও তার টিম এখন যে টিকা তৈরি করছে সেটি সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকেই ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত প্রথম ধাপে টিকা পরীক্ষার আওতায় আনা হবে ৫০০ জনের মতো। পরীক্ষা সফল হলে আরও মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ট্রায়ালে।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হ্যানকক করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রস্তুতের এ প্রচেষ্টায় সব ধরনের সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ প্রক্রিয়ার জন্য নতুন করে তহবিল বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন,দীর্ঘমেয়াদে করোনাভাইরাসকে হার মানানোর সবচেয়ে ভাল পন্থা হচ্ছে টিকা। তবে রোগটি নতুন হওয়ায় আগেভাগে নিশ্চিত করে কিছুই বলা সম্ভব নয় উল্লেখ করে হ্যানকক বলেন, ভ্যাকসিন তৈরিটা হচ্ছে ‘ট্রায়াল এন্ড এরর’ এবং আবার ট্রায়ালের (ভুল শোধরানোর জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা) একটি প্রক্রিয়া। এভাবেই ভ্যাকসিন তৈরি হয়।
টিকা তৈরির এ প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্য সামনের সারিতে আছে এবং অক্সেফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজও টিকা তৈরিতে কাজ করছে বলে জানান হ্যানকক।
বিশ্বে বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। মানবদেহে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ এরই মধ্যে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে। অক্সফোর্ড শুরু করলে তা হবে তৃতীয় পরীক্ষা।