দ্য ডেইলি শো-তে ট্রেভর নোয়ার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মাইক্রোসফট সহ-প্রতিষ্ঠাতা বলেন, সময় বাঁচাতে সম্ভাব্য সাতটি টিকার জন্য উৎপাদন ল্যাব বানাতে কাজ করছে তার ফাউন্ডেশন-- খবর আইএএনএস-এর।
“যদিও আমরা এর মধ্যে সর্বোচ্চ দুইটি টিকা বাছাই করবো, সাতটির জন্যই কারখানা বানাতে তহবিল দেওয়া হবে, যাতে পর্যায়ক্রমে উৎপাদনের সময় নষ্ট না হয়,” বলেন গেটস।
মানব কল্যাণে আরও বেশি প্রাধান্য দিতে গত মাসেই মাইক্রোসফটের পরিচালনা পর্ষদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন গেটস।
গেটস আরও বলেন, “হয়তো উৎপাদনে কয়েকশ’ কোটি মার্কিন ডলার নষ্ট হবে, যদি এগুলো বাছাই না করা হয়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে যেখানে অর্থনীতি থেকে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার হারিয়ে যাচ্ছে সেখানে কয়েকশ’ কোটি মার্কিন ডলারের এই ক্ষতি তেমন কিছু নয়।”
বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের শরীরে সফলভাবে কোন টিকা পরীক্ষার পর এর ফলাফল পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে।
মহামারীর বিরুদ্ধে লড়তে নিম্ন এবং মাঝারি আয়ের দেশগুলোকে সহায়তা করতে অনুদান সংস্থাগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন গেটস।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তাৎক্ষণিকভাবে ১০ কোটি মার্কিন ডলারের অনুদান দেওয়া হবে বলেও ফেব্রুয়ারি মাসেই ঘোষণা দিয়েছে বিল অ্যান্ড মেলিডা গেটস ফাউন্ডেশন।