৮শ’ জনেরও বেশি মানুষ স্বেচ্ছায় এ টিকা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তাদের মধ্যেই বৃহস্পতিবার প্রাথমিকভাবে দুইজনকে টিকা দেওয়া হল।
ইউরোপে মানবদেহে করোনাভাইরাসের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ এটিই প্রথম।
বিবিসি জানায়, পরীক্ষায় যারা অংশ নিচ্ছেন তাদের অর্ধেককে কোভিড-১৯ টিকা এবং বাকী অর্ধেককে করোনাভাইরাস নয় বরং ম্যানিনজাইটিস প্রতিরোধক টিকা দেওয়া হবে।
টিকা যারা নেবেন তারা জানতে পারবেন না যে তাদের কোন টিকা দেওয়া হয়েছে। কেবল চিকিৎসকরাই তা জানবেন।
পরে আগামী কয়েকমাসে দুই গ্রুপের মানুষের তুলনামূলক বিচার করে টিকায় কাজ হচ্ছে কিনা তা নির্ধারণ করতে পারবেন গবেষকরা।
মানবদেহে টিকাটির পরীক্ষা সফল হলে এবছর সেপ্টেম্বরে লাখ লাখ ডোজ টিকা বাজারে ছাড়া সম্ভব বলেই মনে করছেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা।
যুক্তরাজ্যে অক্সেফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজও টিকা তৈরিতে কাজ করছে ।
বিশ্বে বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। মানবদেহে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ এরই মধ্যে হয়েছে দুটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে। এবার তৃতীয়ত যুক্তরাজ্য শুরু করল পরীক্ষা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষকদল তিনমাস ধরে টিকাটি তৈরি করেছে। গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন ভ্যাকসিনোলোজির প্রফেসর সারাহ গিলবার্ট। তিনি বলেছেন, টিকাটি যে কাজ করবে এ ব্যাপারে তিনি ৮০ ভাগ আস্থাশীল।
প্রাথমিক পরীক্ষায় ভাল ফল এলে আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা পরীক্ষার আওতায় আনার পরিকল্পনাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে যে কোনো বয়সের প্রায় ৫ হাজার মানুষের ওপর টিকা প্রয়োগ করা হতে পারে।