ডেঙ্গুতে মৃত্যু কম হওয়ায় সন্তুষ্টির কিছু নেই: হাসান আরিফ

“যখনই ডেঙ্গু বাড়তে থাকে, তখনই আমরা হইচই করি,” বলেন তিনি।

দেশে এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কম হলেও তাতে সন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

তার ভাষ্য, “ডেঙ্গুতে সংক্রমণ হচ্ছে, এটাই চিন্তার বিষয়।”

চলতি সেপ্টেম্বর মাসে দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৪ হাজার ৯০০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩৩ জনের। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও সবাই হাসপাতালে ভর্তি হয় না। এ কারণে ডেঙ্গু আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা জানা যায় না।

ডেঙ্গুর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকার মধ্যে সোমবার সারাদেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে গতি আনতে স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে ১০টি কমিটি করে দেয় সরকার।

মঙ্গলবার ঢাকার নয়াবাজারের নবাব সিরাজউদ্দৌলা পার্ক ও আহমেদ বাওয়ানি একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে হাসান আরিফ বলেন, “ডেঙ্গুতে মৃত্যু সংখ্যা কম, এতে সন্তুষ্টি প্রকাশের কিছু নেই। সংক্রমণ হচ্ছে, এটাই আমাদের চিন্তার বিষয়।

“আমাদের এদিকে বেশি নজর দিতে হবে। সংক্রমণ রোধে দুইটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। একটা হল চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, লার্ভিসাইডিংয়ের ওষুধ দেওয়া, ফগিং করা। আরেকটা হল জনগণকে সচেতন করা।”

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গু বিষয়ক সমস্যা সম্পর্কে সবাই জানেন। প্রতি বছরই এটা নিয়ে মহড়া হয়। তবে শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে।

“যখনই ডেঙ্গু বাড়তে থাকে, তখনই আমরা হইচই করি। নানারকম কার্যকলাপ দেখাই। কিন্তু যদি গোঁড়া থেকেই পদক্ষেপ নেওয়া থাকে, শুরু থেকে আমরা প্রত্যেকে সচেতন হই- তাহলে ডেঙ্গু সংক্রমণ হ্রাস পাবে।”

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরির আহ্বান জানান হাসান আরিফ।

তিনি বলেন, “আপনারা বিভিন্ন পাড়ায় বা মহল্লায় গিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করুন। কাউন্সিলরকে প্রথমেই গিয়ে জিজ্ঞেস করুন, কেন তার এলাকা এত অপরিচ্ছন্ন। তাহলে দেখা যাবে, কাউন্সিলররাও তৎপর হবেন এবং ধাপে ধাপে পরিচ্ছন্নতাকর্মীকেও মাঠে পাওয়া যাবে।”

এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক এ এইচ এম কামরুজ্জামানসহ ডিএসসিসি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।