কোভিড মহামারী নিয়ন্ত্রণে ‘সফলতা’ অর্জন, টিকাদানে সফলতা এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতকে সম্পৃক্ত করেত ভূমিকার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে সংবর্ধনা দিয়েছে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন।
একই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সংবর্ধনা নিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারাগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাতে সম্মাননা তুলে দেন আয়োজকরা। এছাড়া কোভিড মহামারী মোকাবেলায় ভূমিকা রাখায় স্বাস্থ্যখাতের ৩৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ১০ জন ব্যক্তিকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
‘বিশ্বের ১০০ বছরের ইতিহাসে কোভিড মহামারী নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন, ভ্যাকসিন সংক্রান্ত অভাবনীয় সাফল্য এবং বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্তকরণ ও উদ্বুদ্ধ করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং কোভিড মোকাবেলায় অবদান রাখার জন্য বেসরকারি হাসপাতালকে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদান সংবর্ধনা’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রাইভেটে মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন- বিপিএমএ।
সম্মাননা পেয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় সাফল্য জাতির জন্যই একটি বিশেষ অর্জন ও সফলতা। এতে সবচেয়ে বেশি অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে সার্বিক দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা কেবল তার নির্দেশনা মেনে কাজগুলো করে গেছি। আমরা স্বাস্থ্যখাতের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যখন যা কিছু চেয়েছি, তিনি আমাদেরকে সেগুলো দিতে এক মুহূর্ত দেরি করেননি। তিনি মানুষের জীবনের চিন্তা আগে করেছেন।”
করোনাভাইরাস মহামারীর সময় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ায় বেসরকারি চিকিৎসাখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “সে সময় মানুষ ভীত ছিল। শুরুতে মানুষ কোনো এলাকায় হাসপাতাল করতে দিত না। সে সময় দেশের প্রাইভেট মেডিকেল হাসপাতালগুলো সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিল। করোনা চিকিৎসায় ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা, বেড বাড়ানো… যখন যা বলেছি তারা তাই করেছে। এসব কারণে করোনা মোকাবিলায় আমাদের কাজগুলো আরও সহজ হয়েছে।”
বিপিএমএর সভাপতি এম এম মুবিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএমআরসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, বঙ্গবন্ধু স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিঞা ছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালের মালিক এবং চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।