জিয়া খানের আত্মহত্যা: প্রেমিক সুরুজ পাঞ্চোলি বেকসুর খালাস

এই মামলায় অভিনেতা দম্পতি আদিত্য পাঞ্চোলি এবং জরিনা ওয়াহাবের ছেলে সুরুজ দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১০ পর্যন্ত জেল হতে পারত।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2023, 09:44 AM
Updated : 28 April 2023, 09:44 AM

বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানকে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচণা’ দেওয়ার মামলার রায় এল এক দশক বাদে। সেই রায়ে এ অভিনেত্রীর প্রেমিক অভিনেতা সুরুজ পাঞ্চোলিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

এনডিটিভি জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের স্পেশাল সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) আদালতের বিচারক এ এস সায়েদ শুক্রবার এই রায় ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, “প্রমাণের অভাবে সুরুজ পাঞ্চোলিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হল।”

বিচারক এ এস সায়েদ গত সপ্তাহে দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে রায়ের জন্য এই দিন নির্ধারণ করেছিলেন।

এ মামলায় অভিনেতা দম্পতি আদিত্য পাঞ্চোলি এবং জরিনা ওয়াহাবের ছেলে সুরুজ দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১০ পর্যন্ত জেল হতে পারত।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জিয়া খানের মা রাবিয়া খান বলেন, তার মেয়েকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে।

“আমার সন্তান কীভাবে মারা গেল? আমি সব সময় বলে এসেছি এটা খুনের ঘটনা। জিয়ার মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।“

আর সুরুজ ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে নিজের ছবি পোস্ট করে লিখছেন, “সত্যের জয় হয় সবসময়।“

অমিতাভ বচ্চনের ‘নিঃশব্দ’ সিনেমায় অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছিলেন জিয়া খান। ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের ৩ জুন মুম্বাইয়ের জুহুতে নিজের বাসায় তার মৃত্যু হয়। ওই দিন ঝুলন্ত অবস্থায় ২৫ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এরপর পুলিশ জিয়ার হাতে লেখা ছয় পৃষ্ঠার এক চিঠির ভিত্তিতে সুরুজকে গ্রেপ্তার করে। আত্মহত্যার প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে সুরুজের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তবে রাবিয়া খান শুরু থেকেই বলে আসছেন, তার মেয়েকে ‘খুন’ করা হয়েছে।

এ মামলায় সুরুজকে গ্রেপ্তার করা হলেও একমাসের মাথায় জামিন পেয়ে যান এই অভিনেতা।

রাবিয়া খান আদালতে বলেছিলেন, তার বিশ্বাস, এটি আত্মহত্যা নয়, হত্যার মামলা। মুম্বাই হাই কোর্টে তিনি গত বছর এ মামলার নতুন করে তদন্তের জন্য আবেদন জানালেও সেটি খারিজ করে দেয় আদালত।

মামলার তদন্তে থাকা সিবিআইয়ের ভাষ্য, মুম্বাই পুলিশ যে চিঠি জব্দ করেছে, তা জিয়া খানের লেখা। ওই চিঠিতে সুরুজের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক এবং মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের বর্ণানা আছে।

চলতি বছরের ১২ এপ্রিল আদালতে দেওয়া জবানবন্দিকে সুরুজ বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং তিনি ‘নিপীড়নের’ শিকার।

জিয়ার মৃত্যুতে তিনি মানসিকভাবে ‘ভেঙে’ পড়েন দাবি করে বলেছিলেন, “আমি আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সেই নারীবে হারিয়েছি যাকে আমি সত্যিই ভালবাসতাম।“