সত্তর দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী এখন জীবনের ৭১ বছরে।
Published : 12 Feb 2023, 09:01 PM
গত শতকের সত্তরের দশকে বলিউডে সবচাইতে আবেদনময় নায়িকা হিসেবে যার নাম সবার আগে আসে, সেই জিনাত আমান এলেন ইনস্টাগ্রামে।
৭১ বয়সী এই অভিনেত্রী শনিবার ইনস্টাগ্রামে যাত্রা শুরুর পর অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন তাকে নিয়ে।
‘মিস ইন্ডিয়া’ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় সেরা হয়ে ‘মিস এশিয়া প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনালে’ মুকুট জয়ের পর সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন জিনাত আমান। তারপর মডেলিং থেকে নেমেছিলেন সিনেমায়।
অল্প সময়েই বলিউডে শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি; অভিনয় করেন দেব আনন্দ, অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, বিনোদ খান্নাসহ তার সময়ের সেরা সব নায়কের সঙ্গে।
১৯৮৫ সালে দ্বিতীয় বিয়ের পর অভিনয় থেকে সরে যান জিনাত। এরমধ্যেই হালের নায়িকাদের মতো জিনাতেও ইনস্টাগ্রামে আসার খবর প্রকাশ করল টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এই সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যাত্রার শুরুতে মেকআপ ছাড়া একটি ছবি দিয়েছেন জিনাত আমান, সেখানে হালকা হলুদ আলোয় ডোরাকাটা পোশাকে তাকে একটি টুলের উপর বসে থাকতে দেখা যায়।
ছবির ক্যাপশন ছিল- “জীবন আমাকে যেখানে নিয়ে যায়, সেখানেই হাসিমুখে পৌঁছে যাই। তবে এখানে কেন, ইনস্টাগ্রাম?”
এই অভিনেত্রী তরুণ ফটোগ্রাফার ‘তানিয়া এ’কে সাধুবাদ জানিয়ে লেখেন, “কোনো আলো নেই, কোনো মেকআপ আর্টিস্ট নেই, কোনো হেয়ারড্রেসার নেই, কোনো স্টাইলিস্ট নেই, কোনো সহকারী নেই। কেবল একটি সুন্দর রোদেলা বিকাল। ফ্রেমের দুপাশেই নারীদের কাজ করতে দেখতে পাওয়াটা সত্যি আনন্দের। ইনস্টাগ্রামে আর প্রতিভা আবিষ্কারের অপেক্ষায় রইলাম।”
দ্বিতীয় ছবিটির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া নোটে সত্তরের দশকে চলচ্চিত্র এবং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে পুরুষের আধিপত্য নিয়ে কথা বলেন।
“আমি প্রায়ই সেটে একমাত্র নারী হতাম। কর্মজীবনে অনেক প্রতিভাবান পুরুষেরা আমার ছবি তুলেছে, অনেকের সঙ্গে সিনেমাও করেছি।”
প্রথম পোস্টেই ভক্ত-অনুরাগীদের উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন প্রবীণ এই অভিনেত্রী। এক ভক্ত লিখেছেন, “উনি শুধু জিনাত আমান নন। উনি ‘দ্য জিনাত আমান’! স্বাগত আপনাকে! আমরা অনেকেই আপনার অভাববোধ করেছি।”
আরেক ভক্ত লিখেছেন, ‘ইনস্টাগ্রাম পরিবারে স্বাগতম, কিংবদন্তি। আমরা আপনাকে ভালোবাসি।”
‘ইয়াদোঁ কা বারাত’, ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’, ‘ডন’, ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’, ‘কুরবানি’, ‘দোস্তানা’, ‘ধর্ম বীর’, ‘দ্য গ্রেট গ্যাম্বলার’র মতো অনেক হিট সিনেমা এসেছে জিনাতের কাছ থেকে।
জিনাত প্রথমে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা-নির্মাতা সঞ্জয় খানকে, যিনি দ্য সোর্ড অব টিপু সুলতান টিভি সিরিজের জন্য। তাদের বিয়ে টিকেছিল মাত্র এক বছর।
পরে অভিনেতা মাজহার খানকে বিয়ে করেন জিনাত আমান। ১৩ বছর পর ১৯৯৮ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।