‘নাসেক নাসেক’ এর অনিমেষ এবার সিনেমার গানে

সুজন হাজংয়ের কথায় গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2023, 03:34 PM
Updated : 10 Jan 2023, 03:34 PM

কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম সিজনে ‘নাসেক নাসেক’ শিরোনামের গান দিয়ে দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা পাওয়া অনিমেষ রায় গাইলেন সিনেমার গান।

সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’ সিনেমায় ‘সোনার মন’ নামের একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই শিল্পী। সিনেমাটির কাজ এখনও চলছে।

বয়াতি জানান, গীতিকবি সুজন হাজংয়ের কথায় গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক ইমন চৌধুরী।

আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচর’ গল্প অবলম্বনে সিনেমাটির চিত্রনাট্য করেছেন মাসুম রেজা। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, আশীষ খন্দকার, মৌসুমী হামিদ, বদরুদ্দোজা, সরণ সাহা, নিলুফার ওয়াহিদসহ আরও কয়জন।

অনিমেষ রায়ের গান প্রসঙ্গে নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি গ্লিটজকে বলেন, “সিনেমার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি গান ‘সোনার মন’। দ্বৈত গানটিতে অনিমেষ ছাড়াও কণ্ঠ দিয়েছেন একজন নারী শিল্পী। টেকনিক্যাল কারণে আপাতত নারী শিল্পীর নাম জানাতে পারছি না। দর্শকের পছন্দ করার মতো একটি গান হয়েছে ‘সোনার মন’।”

তিনি বলেন, “বছর তিনেক আগে আমি হাজং সম্প্রদায় নিয়ে একটি ডকুমেন্টরি বানিয়েছিলাম। তখন থেকেই অনিমেষের সঙ্গে পরিচয়। সেই থেকে গানটি নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করছি। অনিমেষের গায়কি গানটিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।”

গানটি নিয়ে পরিচালকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনিমেষ রায় বলেন, “আমি ভাগ্যবান যে জীবনে প্রথম চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছি শ্রদ্ধেয় ইমন ভাইয়ের সংগীত পরিচালনায়। আসলে এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়! গীতিকবি সুজন দাদা ও পরিচালক বয়াতি ভাইয়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।”

ইমন চৌধুরী বলেন, “আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রতি আমার অন্য রকম ভালোবাসা কাজ করে। ‘নয়া মানুষ’ চলচ্চিত্রটি দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মিত হচ্ছে। চরাঞ্চলের মানুষের জীবনের সঙ্গে যে সুর জড়িয়ে আছে, সেই আবহ ধরেই গানটির আয়োজন করেছি।”

গীতিকবি সুজন হাজং বলেন, “নয়া মানুষ সিনেমাটির গল্প চর অঞ্চলের মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রামকে ঘিরে। এ রকম একটি জীবনঘনিষ্ঠ সিনেমায় গান লিখতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত।”

নয়া মানুষ সিনেমার কাজ শেষ পর্যায়ে জানিয়ে সোহেল রানা বয়াতি বলেন, “গত বছরের অক্টোবরে চলচ্চিত্রের ৭০ ভাগ কাজ শেষ করেছি। ইচ্ছা ছিল পুরোটা একবারে শেষ করার, কিন্তু সুপার সাইক্লোন সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ৩০ ভাগ কাজ আটকে যায়।”

“খুব শিগগির আমরা বাকি চিত্রধারণের কাজ শুরু করব। বর্তমানে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ এগিয়ে রাখছি, কারণ এ বছরই আমরা চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিতে চাই।”

সিনেমার ধরন নিয়ে বয়াতি বলেন, “নদীর যেমন এক কূল ভেঙে অন্য কূল গড়ে, তেমনি ভাসতে ভাসতে মানুষও এক চর থেকে আরেক চরে চলে যায়। নতুন মানুষ চরে এলে কী রকম সংকট বা সমস্যার সৃষ্টি হয়, সেটা নিয়েই গল্প। এর মধ্যেই প্রেম, প্রকৃতি, ভালোবাসা ও জীবনের নানা ঘাত–প্রতিঘাত দেখানো হয়েছে।”