তরুণ প্রজন্মের সমস্যা নিয়ে সরব ঊষা উত্থুপ

ক্যারিয়ারের শুরুর বছরগুলোতে খুব বেশি সুযোগ না পেয়েও নিজের লক্ষ্যে অটুট ছিলেন গায়িকা।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2023, 03:54 AM
Updated : 9 Nov 2023, 03:54 AM

পাঁচ দশকের বেশি সময় দর্শক-শ্রোতাকে নানা স্বাদের গানে আচ্ছন্ন রেখেছেন ‘দ্য কুইন অফ ইন্ডিয়ান পপ’ ঊষা উত্থুপ; তবে আজকের প্রজন্মের শিল্পীদের মনোযোগের ঘাটতি নিয়ে তিনি চিন্তিত।

বাঙালি না হয়েও বাংলাকে নিজের করে নিয়েছেন যে কজন ভারতীয় তারকা, তাদের মধ্যে অন্যতম উষা। মঙ্গলবার ছিল ভারতীয় এই জীবন্ত কিংবদন্তির ৬৮তম জন্মবার্ষিকী। 

গায়িকার এই বিশেষ মুহূর্তে তার জীবনের কিছু অজানা গল্প নিয়ে প্রতিবেদন সাজিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়।

জীবন কতটা সরল ছিল, এ প্রজন্মের বাচ্চারা জীবনের ছোট ছোট বিষয় নিয়ে কীভাবে বিরক্ত হয়, সম্প্রতি সে বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ঊষা।

গায়িকা ভাষ্য, “আজকের দিনে যে কোনো বিষয়ে ব্যাপকভাবে এক্সপোজার পাওয়া যায় বলেই মনোযোগ একটি বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে স্থানান্তরিত হয়ে পড়ে। আমার মনে হয়, একজনকে অবশ্যই নিজের লক্ষ্যে ফোকাস স্থির রাখতে হবে; স্পষ্ট লক্ষ্য, অবিচল প্রতিশ্রুতি রাখতে হবে জীবনের উঁচুতে চলে যাওয়া পর্যন্ত, যা সাফল্যের দিকে ধাবিত করবে তাদের।

“মেঘলা দিন আছে মানে এই নয় যে সূর্য আর কখনও জ্বলবে না, আলো দেবে না। অসংখ্য জিনিসের অবিরাম এক্সপোজার আকাঙ্ক্ষাকে আরও তীব্র করে। আমার শৈশব এতটাই সাধারণ ছিল যে এত বেশি আশা-আকাঙ্ক্ষা কোনোটাই সেভাবে দেখতে পাইনি, বুঝতেও পারিনি।”

ক্যারিয়ারের শুরুর বছরগুলোতে খুব বেশি সুযোগ না পেয়েও নিজের লক্ষ্যে অটুট ছিলেন বলে জানান গায়িকা।

শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ঊষা বলেন, “আমাদের স্কুলের বাইরে রাগদা বিক্রেতার কথা মনে পড়ে আমার, যাকে সকলে পিয়ালি বলে ডাকত। ওই সব সাধারণ আনন্দের মধ্যেই তৃপ্তি পেয়েছি আমরা। আমি জানতাম না পনির কী, সেটা আমার বাড়িতে আসত কদাচিৎ। ক্রাফ্ট চিজ, এটা বিলাসিতা ছিল আমাদের জীবনে। মাঝে মাঝে আমার মা স্যান্ডউইচে মাখিয়ে দিতেন।”

কলকাতায় প্রথম পনির কাটলেটের স্বাদ পান ঊষা। সে সময় প্রায়ই বিভিন্ন হোটেল-ক্লাবে গাইতে যেতে হত তাকে।

“এটা ভাবতেও অবিশ্বাস্য লাগে। আমার গায়কী ক্যারিয়ারে, খাবার নিয়ে এই আনন্দ উন্মোচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি জানতামই না যে পনির কী।”

ক্লাবে গান গেয়ে নিজের সংগীত জীবনের শুরু করেন ঊষা উত্থুপ। পরে হিন্দি ও বাংলা সিনেমায় প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে কাজ শুরু করেন।

১৯৭৮ সালে ‘শালিমার’ সিনেমার ‘ওয়ান টু চা চা চা’ গানের মধ্য দিয়ে সকলের নজরে পড়েছিলেন এ গায়িকা।

রাহুল দেব বর্মন থেকে শুরু করে বাপ্পী লাহিড়ী, ইলায়ারাজা, শঙ্কর-এহসান-লয়, প্রীতম, যতীন ললিত, বিশাল শেখর জিৎ গাঙ্গুলীসহ বহু নামী সুরকারের সুরে বাংলা, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মালায়লাম, কন্নড়সহ ভারতীয় প্রায় সব ভাষাতেই গেয়েছেন ঊষা উত্থুপ।

২০১১ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন এই সংগীত শিল্পী।