ভোর ৫টা নাগাদ মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকার এই বলিউড তারকার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে চার রাউন্ড শূন্যে গুলি ছুড়ে চম্পট দেয় দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।
Published : 14 Apr 2024, 01:54 PM
ভোর হতে না হতে সালমান খানের বাড়ি সামনে এক পশলা গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এই ঘটনায় নায়ক বা বাড়ির কোনো বাসিন্দা হতাহত হননি।
আনন্দবাজার লিখেছে, রোববার ভোর ৫টা নাগাদ মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকার এই বলিউড তারকার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে চার রাউন্ড শূন্যে গুলি ছুড়ে চম্পট দেয় দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।
ঘটনার কিছুক্ষণ পরই মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। অপরাধীদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
এই গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে সালমানের ভক্তরা অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সোশাল মিডিয়ায়। তবে এই ঘটনা নিয়ে সালমান খানের কোনো বক্তব্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারে সালমানের নাম জড়িয়েছিল। এর ‘বদলা নিতে’ ২০১১ সালে ‘রেডি’ সিনেমার শুটিংয়ের মাঝে সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন লরেন্স বিষ্ণোই।
এরপর ২০১৮ সালে সালমানকে হত্যার জন্য বিষ্ণোই তার সহযোগী সম্পত নেহরাকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু সে সময় অস্ত্রের জটিলতায় পরিকল্পনা মাফিক কাজ সারতে পারেনি খুনিরা।
ওই ঘটনার পর ২০২২ সালে সকালে হাঁটতে বেরিয়ে হুমকি চিঠি আসে সালমন খানের হাতে। ওই চিঠিতে সালমানের বাবা সেলিম খানকে মেরে ফেলার হুমকি ছিল।
এরপর গত বছরের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে পুরনো ‘শত্রু’ কানাডাভিত্তিক এক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারের কাছ থেকে ই-মেইলে খুনের ‘হুমকি’ আসে সালমানের কাছে।
মোহিত মার্গ নামের এক ব্যক্তির মেইলে লিখেছিলেন, “গোল্ডি ভাই (গোল্ডি ব্রার) আপনার (সালামন) সঙ্গে কথা বলতে চান। এজন্য একটি সময় নির্ধারণ করতে হবে। সামনাসামনি গোল্ডি ভাই কথা বলবেন। হিসাব মেটাতে হবে।“
ওই চিঠিতে বিষ্ণোইয়ের সাক্ষাৎকারটি দেখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। তার দুদিন আগে কারাগারে বসে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ফের বলেছিলেন, ক্ষমা না চাইলে সালমান খানকে হত্যার চিন্তাভাবনা থেকে তিনি সরছেন না।
২০২১ সালে থেকে তিহার জেলে বন্দি আছেন বিষ্ণোই। তবে সে সময় পুলিশের কাছে হত্যার হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। এরপর গত বছরে শেষ নাগাদ সালমানকে হত্যায় বিষ্ণোইয়ের ছক বেরিয়ে আসে দিল্লি ও পাঞ্জাব পুলিশের তদন্তে।
সে সময় ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছিল, জেলবন্দি বিষ্ণোই যে ১০ জনকে ‘খতমের তালিকা’য় রেখেছে, তাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সালমনের নাম।
সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, বিষ্ণোইয়ের লোকজন সালমানকে পানভেলে তার খামারবাড়িতে হত্যার পরিকল্পনা এঁটেছিল। সেইমত তারা খামারবাড়িতে নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছিল। কিন্তু পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা হত্যায় অন্যতম সন্দেহভাজন কপিল পণ্ডিতকে গ্রেপ্তারের পর তাকে জেরা করে পুলিশ ওই পরিকল্পনা জেনে যায়।
বিষ্ণোইয়ের শাগরেদরা সালমানের বাড়ির ওপর নজরও রাখছিল।
এরপর সালমানের নিরাপত্তা বাড়নো হয়। তা ছাড়াও এই বলিউড তারকাকে ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। কিছু দিন আগেই সালমনা একটি বুলেট প্রতিরোধী গাড়ি কিনেছিলেন।