স্বাধীনতা পদকের জন্য ফকির আলমগীরের নাম প্রস্তাব করবেন বলে জানালেন প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
Published : 04 May 2023, 10:30 PM
সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর আয়োজনে ষোড়ষ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং সত্যেন সেন সম্মাননা পদক ২০২৩ দেওয়া হয়েছে।
বাংলার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ, সুরকার ও গীতিকার সত্যেন সেনের নামে প্রবর্তিত সম্মাননা পদক এ বছর দেওয়া হল গণসংগীতশিল্পী প্রয়াত ফকির আলমগীরকে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, “ফকির আলমগীর ছিলেন বাংলাদেশের গণসংগীত জগতের প্রাণপুরুষ। প্রয়াত এ গণসংগীতশিল্পী ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সরকার তার এ অসামান্য অবদানের জন্য ইতোমধ্যে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করেছে।”
ফকির আলমগীর দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হওয়ার যোগ্য বলে মনে করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী। সেজন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
খালিদ বলেন, “আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে তৃণমূল পর্যায়ে প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। যদিও আমাদের বাজেট প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তবুও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি অধ্যাপক হায়াৎ মামুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান ও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি অধ্যাপক নিগার চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন ফকির আলমগীরের ছেলে মাসুক আলমগীর।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দলীয় পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীরা। তারা গেয়ে শোনায় ‘ঐ সূর্যের উদয়ের পথে’, ‘মানুষের মাঝে বসবাস করি’। বহ্নিশিখার শিল্পীরা শোনায় ‘ও মোদের দেশ ও বাসীরে’, ‘ঢেউ উঠছে কারা টুটছে’।
সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা শোনায় ‘চাষাদের, মুটেদের, মজুরের আমার এ দেশ’, ‘আজি সপ্ত সাগর উচ্ছলিয়া উঠে’। সমস্বরের শিল্পীরা শোনায় ‘তুমি যে সুরের আগুন লাগিয়ে দিলে মোর প্রাণে’, ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’। পঞ্চভাস্কর শিল্পীরা শোনায় ‘মানুষ ছাড়া ক্ষেপারে তুই', 'গ্রামের নও জোয়ান হিন্দু মুসলমান'। এছাড়া গান পরিবেশন করে ভিন্নধারা, সুরতাল এর শিল্পীরা।
একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন আমিনুল হক জয়, আবিদা রহমান সেতু, শ্রাবণী গুহ রায়, নবনীতা জাইদ চৌধুরী, রোমানা আক্তার। প্রয়াত গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীরের জীবনী পাঠ করেন আবৃত্তি শিল্পী নায়লা তারান্নু চৌধুরী কাকলি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন নুসরাত ইয়াসমিন রুম্পা।