প্রয়াত অভিনেতা মান্নার শেষ সিনেমা 'লীলামন্থন'সহ ১০টি চলচ্চিত্রকে প্রদর্শনের অযোগ্য ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। বেশিরভাগ সিনেমার বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ উঠেছে।
Published : 13 Mar 2015, 02:27 PM
সেই সঙ্গে অশালীন দৃশ্যসম্বলিত পোস্টার প্রদর্শনের দায়ে তিনটি সিনেমা হলকে আপত্তিপত্রও পাঠিয়েছে বোর্ড। জাহিদ হোসেন পরিচালিত 'লীলামন্থন' ছাড়া সেন্সর সনদ না পাওয়া বাকি সিনেমাগুলো হচ্ছে - এফ জাহাঙ্গীর পরিচালিত ‘অশান্ত মেয়ে’, আবুল হোসেন খোকনের ‘প্রেম যে করে সে জানে’, আকাশ আচার্য্যের ‘আকমল আলীর সংসার’, এ আর মুকুল নেত্রবাদীর ‘শাদী’, কালাম কায়সারের ‘ভালোবাসতে মন লাগে’, রকিবুল আলম রকিবের ‘নগর মাস্তান’, নজরুল ইসলামের ‘রানা প্লাজা’, আহসানউল্লাহ মনির ‘বাল্যবিবাহ’, সাজ্জাদুর রহমান বাদলের ‘বাংলার ফাটাকেষ্ট’।
সেন্সর বোর্ড সচিব মোহাম্মদ নিজামুল কবীর গ্লিটজকে এ বিষয়ে বলেন, “কোনোটির নির্মাণশৈলী থুব দুর্বল। চলচ্চিত্রগুলোকে কোনোভাবেই ডিজিটাল চলচ্চিত্র বলার উপায় নেই। আর অধিকাংশ চলচ্চিত্রের কাহিনি হিন্দি বা উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্রের নকল। গানের বিরুদ্ধেও একইরকম অভিযোগ। এছাড়া আপত্তিকর দৃশ্য তো রয়েছেই। এইসব অভিযোগে চলচ্চিত্রগুলোকে সেন্সর ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।” মান্না অভিনীত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘লীলা মন্থন’-এর নাম নিয়েই আপত্তি তোলে রিভিউ কমিটির। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমার এমন নামের পাশাপাশি সিনেমায় মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে দেখানো হয়েছে, এক এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা যৌনপল্লীর নিয়মিত খদ্দের। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের শীর্ষস্থানীয় সদস্যরাও সিনেমাটির ব্যাপারে ‘আপত্তি’ জানিয়েছেন। ‘লীলা মন্থন’-এর পরিচালক কিছুদিনের মধ্যেই সেন্সর বোর্ডের আপিল কমিটির আবেদন করবেন বলে জানা গেছে। ‘রানা প্লাজা’, ‘বাল্য বিবাহ’, ‘বাংলার ফাটাকেষ্ট’ এবং ‘শাদি’ সিনেমাগুলো আগেই আবেদন করেছিল সেন্সর আপিল কমিটির কাছে। সাবেক সাংসদ ও অভিনেত্রী তারানা হালিম ও সাংবাদিক গোলাম সারওয়ারসহ পাঁচ সদস্যের এ কমিটি সিনেমাগুলো দেখার পর রিভিউ কমিটির সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। সাভারের রানা প্লাজা ধস নিয়ে নির্মিত সিনেমাটির বিরুদ্ধে গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে ‘উস্কানিমূলক’ কাহিনি দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে । নজরুল ইসলাম খান পরিচালিত সিনেমাটিতে রেশমা চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমনি। ‘বাল্যবিবাহ’, ‘বাংলার ফাটাকেষ্ট’ এবং ‘শাদি’ - এ তিনটি সিনেমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘অপর্যাপ্ত কাহিনিবিন্যাসে’র।
নেত্রবাদী পরিচালিত ‘শাদী’ সিনেমাতে প্রধান অভিনেতা ফাহিমের চরিত্রের ব্যাপ্তি কম। অভিযোগ আনা হয়েছে, “গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন দুটি কমেডি চরিত্রকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এই চলচ্চিত্রে।” অন্যদিকে ‘বাল্যবিবাহ’ চলচ্চিত্রের কাহিনি সামাজিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে ‘সঙ্গতিপূর্ণ’ নয়।