‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘জাগো’, ‘পিরিতের আগুন জ্বলে দ্বিগুণ’ -এর পর ‘এই তো প্রেম’-এ কাজ করেন বিন্দু। সিনেমাটির কাজ শুরু হয় ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে। তিন বছর লেগে যায় শুটিং শেষ করতে। ৩৫ মিলিমিটার প্রযুক্তিতে নির্মিত সিনেমাটি এখন ডিজিটালে রুপান্তরিত করে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
২০১৪ সালের অক্টোবরে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করে অভিনয়কে বিদায় বলেছেন বিন্দু। আর তাই এটিই হতে পারে শেষ সিনেমা।
সিনেমাটির পরিচালক সোহেল আরমান গ্লিটজকে জানান, মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নিখাঁদ প্রেমের গল্প ‘এই তো প্রেম’। সিনেমাতে শাকিব সূযর্ চরিত্রে এবং বিন্দু মাধবী চরিত্রে অভিনয় করবেন। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাতে রয়েছেন অমিত হাসান, শহীদুজ্জামান সেলিম ও নিপুণের মতো তারকারা।
সিনেমাটির এত দেরিতে মুক্তির ব্যাপারে তিনি বলেন, “সিনেমাটি ডিজিটালে রুপান্তর করতে বেশ সময় লেগেছে। এরপর দেশের পরিস্থিতিও খুব ভালো নয়। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সময়ে সিনেমাটি মুক্তি দিতে দেরি হয়ে গেলো।”
সিনেমাটি নিয়ে আশাবাদী শাকিবও।
“সিনেমাটি একটি দারুণ গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে। সিনেমাতে আমার বিপরীতে রয়েছে বিন্দু। তার সঙ্গে প্রথমবারের মতো কাজ করতে গিয়ে মনে হয়নি, তিনি সিনেমাতে নবাগতা। পরিচালক সোহেল আরমান তার গল্প দিয়ে সিনেমাটিকে পরিপূর্ণভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। অনেকদিন পরে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। এ ব্যাপারটি সত্যিই আনন্দের।”
এদিকে সেন্সর বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিনেমার বেশ কিছু অংশ কর্তন সাপেক্ষে সেন্সর সনদ দেওয়া হয়েছে।
সিনেমাটির অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে থাকছে হাবিব-ন্যান্সি জুটির গান। সিনেমার সবগুলো গানের সংগীতায়োজন করেছেন হাবিব ওয়াহিদ।