‘রেইনকোট’ নামে সিনেমার শুটিং শুরু করলেও পরে সিনেমার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘মেঘমল্লার’। পরিচালক জাহিদুর রহিম অঞ্জন বললেন, “সিনেমার শুটিং শুরু করার পর দেখলাম মূল গল্প থেকে অনেকটাই সরে এসেছি। বৃষ্টিমুখর দিনের গল্প নিয়ে সিনেমাটি এগিয়েছে। তাই নাম বদলে রাখলাম ‘মেঘমল্লার’।”-
অঞ্জন আরও জানিয়েছেন, সিনেমাতে তিনি ‘মেঘমল্লার’ রাগটি আবহ সংগীত হিসেবে ব্যবহার করেছেন। অভিজিৎ বসুর সংগীতায়োজনে রাগটি আলাপ করেছেন ভারতীয় শিল্পী পন্ডিত তুষার দত্ত ও আইভি ব্যানার্জি।
‘মেঘমল্লার’ সিনেমাতে কলেজশিক্ষক নুরুর চরিত্রে অভিনয় করছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, তার স্ত্রী আসমার চরিত্রে অপর্না ঘোষ এবং তাদের মেয়ে সুধার চরিত্রে অভিনয় করেছে জারা। এছাড়া কলেজের অধ্যক্ষর চরিত্রে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় এবং পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করছেন মোস্তাফিজ শাহীন ও ইভান।
১৯৭১ সালে বর্ষামুখর তিনটি দিনের গল্প নিয়ে ‘মেঘমল্লার’ সিনেমার বিয়োগান্তক আখ্যান। সিনেমায় দেখা যাবে, একটি মফস্বল শহরের সরকারি কলেজের রসায়নের শিক্ষক নূরুল হুদা। স্ত্রী আসমা ও পাঁচ বছরের মেয়ে সুধাকে নিয়ে তার সংসার। আর তাদের সঙ্গে থাকে আসমার ছোট ভাই মিন্টু। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর নুরুল হুদাকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা প্রসঙ্গে পরিচালক অঞ্জন গ্লিটজকে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা নির্মাণ বড় সহজ কথা নয়। মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা মানেই একাত্তরের প্রেক্ষাপটকে হাজির করতে হবে। ‘মেঘমল্লার’ সিনেমাতে খুব সতর্কতার সঙ্গে আমি সে কাজটি করেছি। আগাগোড়া আমাকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়েছে।”
সিনেমাটি প্রযোজনা ও পরিবেশনার দায়িত্বে রয়েছেন বেঙ্গল ক্রিয়েসন্স লিমিটেড।
সিনেমার মুখ্য চরিত্রে রূপদানকারী শহীদুজ্জামান সেলিম ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য খল চরিত্রে সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার জেতেন। তার প্রথম সিনেমা ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ মুক্তি পায় ২০০৭ সালে। তিনি আরও অভিনয় করেছেন ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘দেবদাস’ সিনেমাতে।
অন্যদিকে অপর্না সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘সুতপার ঠিকানা’ সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন।