বুধবার সন্ধ্যার পর উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর জায়েদ খান শিল্পী সমিতির কার্যালয়েও বসেছেন।
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে গত এক মাস বসে আসা নিপুণ আক্তার এফডিসিতে গেলেও শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে তাকে দেখা যায়নি।
বুধবার হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান দায়িত্ব পালন করবেন।
ঘণ্টাখানেক পর তালা খোলা হলে জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন।
এ সময় অভিনেত্রী নিপুণও যান এফডিসিতে।
জায়েদ খানের সমর্থকরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। অন্যদিকে আরেক পক্ষ জায়েদ খানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনী আপিল বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেনের এক পর্যায়ে জায়েদ খানের বাক-বিতণ্ডাও ঘটে।
এরপর পৌনে ৭টায় এফডিসিতে পুলিশের ঝটিকা অভিযান চলে।
উপস্থিত একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে, “হঠাৎ পুলিশ আসার পর এফডিসি ফাঁকা হয়ে যায়। ১০ মিনিটের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।”
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি কাজী আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পুলিশ ঢুকতেই বহিরাগত অনেককে দৌড়ে পালাতে দেখা যায়।
অভিযান শেষে যাওয়ার আগে কাজী আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, “এটা কেপিআইভুক্ত এলাকা। নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে আমরা এফডিসিতে এসেছিলাম। বিশেষ কোনো অভিযান ছিল না।”
রাত ৯টার দিকে এফডিসিতে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে জায়েদ খান ও তার অনুসারীদের দেখা যায়। তবে নিপুণকে দেখা যায়নি।
নির্বাচনের সময়ই টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করেছিলেন ইলিয়া কাঞ্চনের প্যানেলের প্রার্থী নিপুণ। তাতে সাড়া না পেয়ে তিনি আপিল করেন।
জায়েদের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার ‘প্রমাণ পাওয়ার’ কথা জানিয়ে আপিল বোর্ড তার প্রার্থিতা বাতিলের ঘোষণা করে। এরপর শপথ নিয়ে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন নিপুণ।
আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জায়েদ খান যান আদালতে। তাতে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেয় হাই কোর্ট, রুলও জারি করা হয়। সেই রুলের উপর শুনানি শেষে হাই কোর্ট বুধবার জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে রায় দেয়।