করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে মারা গেছেন তিনি।
শনিবার জোহরের পর খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া জামে মসজিদে (মাটির মসজিদ) দ্বিতীয় জানাজা শেষে দুপুর দুইটায় এ শিল্পীকে খিলগাঁও কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
এর আগে একুশে পদকপ্রাপ্ত এ কণ্ঠযোদ্ধাকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকাল ১১টায় ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়েছে। এরপর বেলা ১২টার দিকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় শ্রদ্ধা নিবেদন আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিল্পকলা একাডেমি, কৃষক লীগসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ অনেকে শ্রদ্ধা জানান এ শিল্পীকে।
তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।
ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত ফকির আলমগীর ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেব ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শামিল হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে।
স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন ৭১ বছর বয়সী এ শিল্পী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীরকে একুশে পদক দেয়।