তিনি লেখেন, “মৃত্যুর পর শহীদ মিনারে যেতে চাই না একদমই।...মসজিদের পাশে কবর চাই..।”
জীবনের শেষদিন অবধি কাজের মধ্যে থাকতে চান বলে জানান এ শিল্পী।
“কর্মহীন দীর্ঘজীবন আমার খুবই অপছন্দ। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকতে চাই, সুরের সাথে ন্যায়ের সাথে ভালো কাজের সাথেই থাকতে চাই। আরো ভালো কিছু কাজ করতে চাই। এই আমার বড় ইচ্ছা।”, বলেন তিনি।
দীর্ঘ স্ট্যাটাসে সংগীতশিল্পী হয়ে উঠার পেছনে সংগ্রামের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
লিখেন, “স্বামী একজন মিউজিক ডিরেক্টর। বলা যায় দুজনই বেকার। গান গাওয়ার জন্য বিটিভি, বাংলাদেশ বেতারে যাওয়ার রিক্সা ভাড়া জোটানোও ভয়াবহ কঠিন কাজ ছিল! জীবন বাঁচাতে জীবিকার পেছনে ছুটতে ছুটতে এই কিশোরী তখন দুই বাচ্চার মা। তবুও গান গেয়ে যেভাবে মানুষের মনে নিজ পরিচয় নিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম তাতে এখনকার যুগ হলে স্টার হয়ে যেতাম। ইউটিউব এ ভিউ কোটির ঘর ছাড়িয়ে যেতো কিন্তু কখনোই বুঝতে সক্ষম হইনি যে আমার গান মানুষ শোনে বা আমি জনপ্রিয় কেউ!”
জন্মদিনের স্মৃতিচারণায় জানান, ছোটবেলায় মোম জ্বালিয়ে স্বজনদের দাওয়াত করে উৎসব করার রীতি ছিল না তার পরিবারে। তবে কৈশোরে দুয়েক জন্মদিনে তার মা বান্ধবীদের ডেকে পায়েস, চানাচুর, কেক-নুডলস দিয়ে আপ্যায়ন করেছিলেন।
তিনি বলেন, “সত্যিকার অর্থেই জন্মদিন এর প্রতি আলাদা কোন দুর্বলতা আমার নেই একথা দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই। আর আমি কোন সেলিব্রিটি বা তারকা নই যে আমার জন্ম তারিখ কাউকে মনে রাখতে হবে।”
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জগতের উন্নতির জন্য গান করেননি বলে জানান কনকচাঁপা।
তার ভাবনায়, “আমি গান গেয়েছি নিজের জীবিকার তাগিদে তাই দেশের মানুষের কাছে সুশীল সমাজের কাছে, সরকারের কাছে আমার কোনই চাওয়া নেই, আক্ষরিক অর্থেই এক ফোঁটাও চাওয়া-পাওয়া নেই।”
১৯৬৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন এ শিল্পী। প্রায় ৩২ বছর ধরে সংগীতাঙ্গনে কাজ করছেন। চলচ্চিত্রের তিন হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। প্রকাশিত হয়েছে ৩৫টি একক গানের অ্যালবাম। গানের পাশাপাশি লেখালেখিতেও নিয়মিত তিনি।
ছবি: কনকচাঁপার ফেইসবুক থেকে নেওয়া।