সোমবার বিকেলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে চলচ্চিত্রটি। সম্ভাব্য নতুন মহরতের তারিখ এখনও জানা যায়নি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মো. জাফর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এখনও চলচ্চিত্রটির ডিপিপি পাশ হয়নি। পাশ হওয়ার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ঘুরে কেবিনেটে অনুমোদন করাতে হবে।
ফলে পূর্বঘোষিত ১৬ সেপ্টেম্বর মহরত অনুষ্ঠান না হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে।
জাফর আলম বলেন, “১৬ তারিখে চলচ্চিত্রটির ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নিশ্চিত করে জানানো হয়নি। ১৬ তারিখে অনুষ্ঠানটা হচ্ছে কিনা তা জানতে পারিনি।...ডিপিপি পাশ হলে আমরা দৃঢ়ভাবে চলচ্চিত্রটির ঘোষণা দিতে পারব।”
ডিপিপির বিষয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ভোলা নাথ দে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আশা করছি শিগগিরই ডিপিপি পাশ করা হবে।
চলচ্চিত্রটি প্রস্তাবিত বাজেট ৩০ কোটি ১০ লাখ হতে পারে বলে জানা গেলেও পরে বাজেট খানিকটা কমতে পারে বলে নতুন তথ্য মিলেছে।
ভোলা নাথ দে বলেন, “ এখনও বাজেট রিকাস্টের প্রস্তাব করা হয়নি”
চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করছেন ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মহরতের অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন বিষয়ক কোনো তথ্য তিনি জানেন না।
এর আগে নির্মতব্য এ চলচ্চিত্রে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলেছেন একাত্তরের নৌ কমান্ডো আবু মুসা চৌধুরী।
দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এ মুক্তিযোদ্ধা গত ৯ মে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এক চিঠিতে অভিযোগ করেন, চলচ্চিত্রের কাহিনী ‘অতিরঞ্জিত’ ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ‘ইতিহাস বিকৃতি’ ঘটানো হচ্ছে।
বিষয়টি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মো. জাফর আলমও ইতোমধ্যে জেনেছেন।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার বিকেলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইতিহাস বিকৃতির প্রশ্নই আসে না। ওয়ার্ল্ড ওয়ার নিয়ে প্রচুর ছবি হচ্ছে বিশ্বে।.. আমরা এত বড় ঝুঁকি নিতে যাব কেন? এটা ব্যক্তিগত কোনো বিষয় হতে পারে। আমরা একটা ভালো কাজ করছি।
“...আমরা বিষয়টি জেনেছি। ওরকম কিছু যদি থাকে তাহলে অবশ্যই দেখব। তবে ওটা অনেক পরের কথা; এখনকার কথা না।”