অপারেশন জ্যাকপটের ৩০ কোটি টাকার ‘গরিবি বাজেট’

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ নৌ-কমান্ডোর প্রথম অভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’ অবলম্বনে চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থায়নে নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সাইমুম সাদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2018, 01:16 PM
Updated : 28 August 2018, 02:58 PM

এখন অবধি এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বাজেটের চলচ্চিত্র। তবে ছবির নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম এ বাজেটে খানিকটা নাখোশ; আয়োজনের তুলনায় এটিকে ‘গরিবি বাজেট’ বললেন তিনি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্লিটজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, ছবিটি করতে আরও বেশি টাকার দরকার।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “ইউরোপে শুটিং আছে। নৌ-কমান্ডো মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য ফ্রান্স থেকে পালিয়ে এসেছিলেন, ওখানে শুট করতে হবে। বাংলাদেশে ১৯৭১ তৈরি করতে হবে; ইউরোপেও ১৯৭১ তৈরি করতে হবে।”

‘মনপুরা’ খ্যাত এ নির্মাতা জানান, চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রায় ছয় হাজারের মতো লোক যুক্ত থাকবেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় হাজার হাজার মানুষের সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার দৃশ্য উঠে আসবে চলচ্চিত্রে।

“পলাশীর প্রান্তরের ভাগীরথি নদীর তীরে নৌ-কমান্ডোদের ট্রেনিং ক্যাম্প তুলে আনা হবে ছবিতে। সব মিলিয়ে এটা হিউজ কর্মযজ্ঞ। সে অনুযায়ী বাজেট কিন্তু গরিবি বলতে হবে এ ছবির জন্য,” বলেন তিনি।

আপনি বলছেন ‘পর্যাপ্ত’ বাজেট পাননি। তাহলে চলচ্চিত্রটি কিভাবে করবেন?

‘স্বপ্নজাল’ চলচ্চিত্রের এ নির্মাতা বলেন, “ক্রিয়েটিভ সল্যুশন করতে হবে। আমরা ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের এ আর রহমানকে অথবা ওই লেভেলের কাউকে ভাবতেছি। তাহলে জিনিসটা ভালো হবে। আমরা উনার কাছে যাব।...ওনার সম্মানী তো কোটি টাকার উপরে।

“আর ডিওপি ভাবতেছি দেশের বাইরের। বাইরের চলচ্চিত্রে কাজের অভিজ্ঞতা আছে এরকম প্রোডাকশন ডিজাইনার খুঁজতেছি। অনেক খরচার ব্যাপার।”

ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য সম্পন্ন হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বরের ছবির মহরতের আয়োজন করা হবে। তবে এখনও ছবিটির কাস্টিং বাকি আছে বলে জানান তিনি।

“কাস্টিং ডিরেক্টর এখনও নেওয়া হয়নি। তাকে নেওয়ার পর কাস্টিং শুরু হবে।”

শুটিং শুরু হবে কবে নাগাদ?

তিনি জানান, শুটিংয়ের তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। ব্যাপারটা প্রক্রিয়াধীন আছে। সরকারের তরফ থেকে ইংগিত পেলেই শুটিং শুরু করবেন।

১৯৭১ সালের ১৫ অগাস্ট চট্টগ্রাম, মোংলা, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ বন্দরে একযোগে বাংলাদেশের নৌ কমান্ডোদের প্রথম অপারেশন ছিল ‘অপারেশন জ্যাকপট’।

মুক্তিযোদ্ধারা জানতেন, তাদের এই অভিযান সফল হলে বাঙালি জাতিকে তা এগিয়ে নেবে বিজয়ের বন্দরের পথে। আর ব্যর্থতার ফল হবে মৃত্যু। এ কারণে লিম্পেট মাইন নিয়ে মরণপন সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন জ্যাকপট’।