‘শিল্প শুদ্ধতায় শুচি হোক ধরা’- স্লোগানে উৎসবটির আয়োজন করেছেন নাট্যাধার, সিরাজগঞ্জ।
বাদল সরকারের মূলরচনা অবলম্বনে স্বপ্নদলের যুদ্ধবিরোধী গবেষণাগার প্রযোজনা ‘ত্রিংশ শতাব্দী’-র রূপান্তরসহ নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।
যুদ্ধোন্মাদনার বিরুদ্ধে শৈল্পিক প্রতিবাদ ‘ত্রিংশ শতাব্দী’-র মূলকাহিনি পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকির আণবিক বোমা বিস্ফোরণের অনভিপ্রেত পরিণতি।
এর সমান্তরালে গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বসনিয়া-ফিলিস্তিন, আফগানিস্থান, পাকিস্তান-ভারত, ইরাকে আগ্রাসন, কুয়েত-তিউনিশিয়া ইয়ামেন-সিরিয়া-তুরস্ক-ফ্রান্স-গুলশানে বর্বর হামলার প্রসঙ্গ।
‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনায় নানাবিধ দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবাজ-যুদ্ধাপরাধী-অশান্তিকামীদের স্বরূপ এবং তাদের কর্মের তাৎক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী বীভৎসতার চিত্র উদঘাটিত হয়েছে।
সভ্যতা ধ্বংসকারী মানবসৃষ্ট যুদ্ধ-গণহত্যা-অনাচারের বিপরীতে মানুষ হিসেবে বর্তমান কর্তব্য অনুধাবন এবং এক্ষেত্রে দর্শককে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মুখোমুখি স্থাপনই ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনার প্রত্যাশা।
প্রযোজনাটির উপস্থাপনায় প্রয়োগ করা হয়েছে হাজার বছরের নাট্য-ঐতিহ্যের ধারায় আধুনিক ‘বাঙলা নাট্যরীতি’।
‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনার গ্রন্থিকেরা হলেন জুয়েনা শবনম, ফজলে রাব্বি সুকর্ণ, সামাদ ভূঞা, শিশির সিকদার, জেবুন নেসা, শাখাওয়াত শ্যামল, মেহেদী রানা ও জাহিদ রিপন।
স্বপ্নদলের ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনাটি দেশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ইউরোপের স্বনামখ্যাত নাট্যোৎসব ‘১৩তম এ সিজন অব বাংলা ড্রামা-২০১৫’, নয়াদিল্লির ন্যাশনাল স্বুল অব ড্রামা (এনএসডি)-তে এশিয়ার বৃহত্তম ও মর্যাদাপূর্ণ ভারতের রাষ্ট্রীয় নাট্যোৎসব ‘১৭তম ভারত রঙ মহোৎসব-২০১৫’, কলকাতার দমদমে ‘শম্ভু মিত্র ও বিজন ভট্টাচার্য স্মৃতি আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব-২০১৬’ সহ ভারতের নানা স্থানে বেশ কিছু আমন্ত্রিত প্রদর্শনী ব্যাপকভাবে প্রংশসিত হয়।