১. লিওনার্দো নামের রহস্য:
লিওনান্দো ডি’ক্যাপ্রিয়কে পেটে নিয়ে ইটালির এক জাদুঘরে বিখ্যাত চিত্রকর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির একটি ছবি দেখছিলেন তার মা। এমন সময় হঠাৎ করে তার পেটে লাথি মারেন অনাগত সন্তান। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন বাচ্চাটি যদি ছেলে হয় তবে তার নাম রাখা হবে লিওনার্দো!
২. পর্দা নাম বনাম বাস্তব নাম:
১১ বছর বয়সে প্রথম যখন অভিনয়ে আসেন তখন তার নাম বদলে লেনি উইলিয়ামস রাখা হয়েছিলো। লিওনার্দোর চেয়ে এ নামটিই বেশি যুতসই মনে করেছিলেন নির্মাতা। তবে ১৯৯১ সালে সায়েন্স ফিকশন-হরর-কমেডি ‘ক্রিটারস থ্রি’ এর মাধ্যমে যখন অভিনয় প্রবেশ করেন তখন লেনি উইলিয়ামস নয় বরং লিওনান্দো ডি’ক্যাপ্রিয় নামেই পরিচিতি পান তিনি।
৩. খুঁতখুঁতে লিও:
সিনেমা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশ খুঁতখুতে লিওনার্দো। চরিত্র পছন্দ না হওয়ায় বেশ কিছু সিনেমা ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি যেগুলো পরবর্তীতে হয়েছিলো তুমুল জনপ্রিয়। এর মধ্যে রয়েছে ‘ব্যাটম্যান ফরএভার’ এর রবিন চরিত্র, ‘স্টার ওয়ার্স’ এর আনাকিন স্কাইওয়াকার, ‘স্পাইডার-ম্যান’ এর প্রধান চরিত্র সহ বেশ কিছু খ্যাতিমান চরিত্র।
৪. বন্ধুতা ও শত্রুতা:
মিডিয়া জগতে লিওনার্দোর রয়েছে বন্ধুত্বের বেশ কিছু মজার ঘটনা। ১৯৯৫ সালে ‘দ্য কুইক অ্যান্ড দ্য ডেড’ সিনেমায় লিওনার্দোকে নেওয়ার জন্য অর্ধেক পারিশ্রমিক নেন হলিউড অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন। পারিশ্রমিকের বাকি অর্ধেক লিওনার্দোর সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন তিনি!
একই বছর ‘দ্য বাস্কেটবল ডাইরিস’ ছবিতে সহঅভিনেতা মার্ক ওয়ালবার্গকে যাতে না নেওয়া হয় সেজন্য জোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন লিওনার্দো! এমনকি মার্ককে নেওয়া হলে তিনি ছবিতে অভিনয় করবেন না বলেও হুমকি দেন। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে এ কথা জানান মার্ক। পরবর্তীতে অবশ্য তারা দুজন ভালো বন্ধু হয়ে যান। ২০০৬ সালের ‘দ্য ডিপার্টেড’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয়ও করেন তারা।
৫. মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা:
দুই বার নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন ‘দ্য রেভেন্যান্ট’ অভিনেতা। প্রথম ঘটনাটি লিওনার্দোর অল্পবয়সের। সাউথ আফ্রিকার সমুদ্রে ডাইভিং করার সময় হঠাৎ করেই এক সাদা তিমি সামনে পড়ে যান তিনি। তার মাথা ও ঘাড়ের কাছ হতে মাত্র পাঁচ-ছয় হাত দূরে থাকতেই তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনা এখন ভুলতে পারেননি তিনি।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে বিমানে করে রাশিয়ার যাওয়ার সময়। বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ করার সময় হঠাৎ করেই তার সামনের এক ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ ঘটে। কয়েক মিনিটের জন্য পুরো বিমানই বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মধ্যিপথে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি আর সে যাত্রা রক্ষা পান অস্কারজয়ী অভিনেতা!