ভারতের মাদ্রাজের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরেছেন পারভিন সুলতানা দিতি। তবে নিজের ঘরে নয়, দেশের হাসপাতালে ঠাঁই হয়েছে তার।
এ বিষয়ে অভিনেত্রীর সহকর্মী পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার গ্লিটজকে বলেন, “দেশে ফিরে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই।”
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব গুলজার আরো জানালেন, “প্রথমে তার টিউমার ধরা পড়ে। স্বাভাবিকভাবে সেটাই ক্যান্সারে রূপ নেয়। যে কারণে সর্তকতামূলক কেমোথেরাপি দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু তাতে অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। বরং এর প্রতিক্রিয়ায় পারকিনসন্স রোগ দেখা দিয়েছে।”
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতা বোধ করছিলেন মধ্য বয়সী অভিনেত্রী দিতি। দেশের বেশ কয়েকটি হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে না পেরে মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অব অর্থোপেডিকস অ্যান্ড ট্রমাটোলজি হাসপাতালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভর্তি হন। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, তার মস্তিষ্কে টিউমার জন্ম নিয়েছে। ২৫ জুলাই ভর্তির পর সেখানেই সফলভাবে অস্ত্রোপচার হয় তার। এরপর দেশে ফিরে আসেন দিতি।
পরবর্তীতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে আবারও মাদ্রাজ যান। টিউমার অপসারণ করা হলেও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাননি। অস্ত্রোপচারের পর কেমোথেরাপি দেয়া হচ্ছিল তাকে।
অভিনেত্রীর মেয়ে লামিয়া বরাত দিয়ে শুক্রবার গুলজার বলেন, “তারা ফিরে আসতে চাইছে, এখনো তারিখ ঠিক করা যায়নি। আশা করা যায়, তারা সব সব রকমের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ১৫ থেকে ২০ জানুয়ারির মধ্যে দেশে আসবেন।”
শনিবারই দুই সন্তানকে নিয়ে দেশে ফিরে আসেন দিতি।
গুলজার এবার জানিয়েছেন, প্রথমে তাদের কোনোমতেই আসার অনুমতি দিচ্ছিলেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে তাদের ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করেই কর্তৃপক্ষ তাদের অনুমতি দেয়। এবং টিকিট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা দেশের পথে উড়াল দেন।
সেখান থেকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। এদিকে দিতির চিকিৎসার্থে তার মেয়ের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।