শিল্পী সমিতির নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এখন আর সমিতিতে থাকা প্রয়োজন মনে করছি না।
Published : 25 May 2024, 10:40 PM
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে সদস্য পদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আবেদন করতে যাচ্ছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন অভিনেতা ওমর সানী।
নিজের ফেইসবুক পেইজে এক পোস্টে নব্বই দশকের এই অভিনেতা বলেন, “আমি আর শিল্পী সমিতিতে সদস্য হিসেবে থাকতে চাইছি না, আমি কয়েক দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট সাহেবের কাছে চিঠি পাঠাব। সমস্ত শিল্পীর প্রতি আমার শ্রদ্ধা রইল।”
কেন এমন সিদ্ধান্ত, জানতে চাইলে তিনি গ্লিটজকে বলেন, “কারণ নেই। কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই।”
কোনো কারণ বা অভিযোগের কথা না বললেও শিল্পী সমিতি নিয়ে ‘প্রশ্নের মুখে পড়া’র কথা বলছেন ওমর সানী।
ওমর সানী বলেন, “শিল্পী সমিতির নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমিও একসময় সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। এখন আর সমিতিতে থাকা প্রয়োজন মনে করছি না। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল চেয়ে গত ১৫ মে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছেন অভিনেত্রী নাসরিন আক্তার নিপুণ।
রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাই কোর্ট। একইসঙ্গে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়, যেখানে ২৬৫ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে জয়ী হন মিশা সওদাগর। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট।
২২৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হন ডিপজল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ অল্প ভোটে হেরেছেন; তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।
২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচনেও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জায়েদ খানের সঙ্গে সমস্যা হয়েছিল নিপুণের।
‘বিজয়ী’ জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ‘ভোট কেনা’র প্রমাণ পাওয়ায় এক সপ্তাহ পর তার প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে জয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনার আপিল বোর্ড।