'নীল ময়ূরের যৌবন' প্রযোজনাটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের নাট্যগবেষণারই এক প্রায়োগিক প্রয়াস বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
Published : 24 Apr 2025, 12:08 AM
ঢাকার মঞ্চে আসছে দুই ঘণ্টার নাট্যপ্রযোজনা 'নীল ময়ূরের যৌবন'।
সেলিনা হোসেনের উপন্যাস থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা নাটকটি মঞ্চস্থ করবে।
এই নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন অধ্যাপক ইউসুফ হাসান অর্ক। বাংলার ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনারীতির উপর কয়েক দশক ধরে গবেষণা করে চলেছেন এই অধ্যাপক।
'নীল ময়ূরের যৌবন' প্রযোজনাটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের নাট্যগবেষণারই এক প্রায়োগিক প্রয়াস বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইউসুফ হাসান অর্ক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা এ প্রযোজনার পরতে-পরতে সত্যটুকু অনুধাবন ও শ্রদ্ধাভরে অভিব্যক্ত করতে চেয়েছি। গীত আর কথা নির্বিবাদে এর আঙ্গিক প্রদত্ত ক্যানভাস জুড়ে সংসার পেতেছে। তাই কাহিনীর সত্যতার চেয়ে অনুভবের শক্তি উদযাপনই বড় হয়ে উঠেছে আমাদের প্রযোজনায়।"
এই নাট্যে উপন্যাসের সব চরিত্রের উপস্থিতি নেই।
বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তন ও স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে নাটকটির পাঁচটি প্রদর্শনী হবে।
বৃ্হস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে উদ্বোধনী প্রদর্শনীর পরের দিন বিকেল সাড়ে ৪টা এবং সন্ধ্যা ৭টায় একই মিলনায়তনে আরও দুটি প্রদর্শনী হবে।
এছাড়া শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা এবং সন্ধ্যা ৭টায় স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে নাটকটির দুইটি প্রদর্শনী হবে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে এই নাটকের ৫টি প্রদর্শনী হয়েছিল।
১৯৮৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বনাট্যকে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি দেশজ নন্দনভাবনায় 'থিয়েটার', 'পারফরম্যান্স', 'ড্রামা', 'নাট্য' ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা ও ধারণাগত বিশ্লেষণ এই বিভাগের পাঠ্যবস্তু।
সমকালীন সৃজনশীল নাট্যচর্চার পাশাপাশি বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও নাট্য ঐতিহ্যের অন্বেষণ, বাংলা নাট্যের হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে বিশ্বনাট্যে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে ভাস্বর করতেই নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে বলে এই বিভাগ সংশ্লিষ্টরা বলেছেন।