খুনিদের ছক ছিল সালমানের গাড়িতে হামলা চালানো এবং তার খামারবাড়িতেও হামলা চালিয়ে সম্পূর্ণ তছনছ করে দেওয়া।
Published : 01 Jun 2024, 04:16 PM
দেড় মাস আগে মুম্বাইয়ে বলিউড তারকা সালমান খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর যে ঘটনা ঘটেছিল, তার তদন্তে অভিনেতাকে হত্যার নতুন ছকের তথ্য উঠে এসেছে।
এনডিটিভি বলছে, গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই সালমানকে খুন করার চেষ্টায় ক্লান্ত হচ্ছেন না। গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলির পর সেই ঘটনার দায় স্বীকার করে নতুন বুদ্ধি আঁটেন এই গ্যাংস্টার। অোর সেটি হল সালমানকে ফের পানভেলে তার খামারবাড়িতে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। খুনিদের ছক ছিল সালমানের গাড়িতে হামলা চালানো এবং তার খামারবাড়িতেও হামলা চালিয়ে সম্পূর্ণ তছনছ করে দেওয়া।
মুম্বাই পুলিশ বলছে, সালমানকে হত্যার এই পরিকল্পনায় ৬০ থেকে ৭০ জন সদস্যকে বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে শুটার হিসেবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাজে লাগানো হয়। আর হত্যাকাণ্ডে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের চাচাত ভাই আনমোল বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রার, ডোগার নামে পরিচিতি এক পাকিস্তানি ডিলারের কাছ থেকে একে-৪৭, এম-১৬, একে-৯২সহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র কিনেছিল।
এই ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে নতুন করে গ্রেপ্তার করেছে চারজনকে। তারা হলেন- ধনঞ্জয় তপেসিং ওরফে অজয় কাশ্যপ, গৌরব ভাটিয়া ওরফে নাহভি, ভ্যাপসি খান ওরফে ওয়াসিম চিকনা এবং রিজওয়ান খান। চারজনই খুনের মূল দায়িত্বে ছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
আরও পড়ুন:
এবার হুমকি নয়, সালমানের বাড়ির সামনে গুলি
'শেষবার সাবধান করছি', সালমানকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকি
পুলিশ তদন্ত করে জেনেছে, হত্যাকারীরা পরিকল্পনা ঝালিয়ে নিতে পানভেলে বাসস্ট্যান্ড এবং রেলস্টেশনে কয়েকদফা গোপন বৈঠক করে।
অজয় কাশ্যপের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে লরেন্স বিষ্ণোই যোগযোগ করতেন। আর লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নির্দেশনা কাশ্যপ অন্যদের জানিয়ে দিতেন। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য অপরাধীদের ভালো অংকের টাকা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রার। যে টাকা আসার কথা ছিল গোল্ডির কানাডার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে।
লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নির্দেশনা ছিল সামলানকে হত্যার পর এই চারজনকে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে পালিয়ে যেতে হবে। সেখান থেকে সমুদ্রপথে তাদের শ্রীলঙ্কায় নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর কানাডায় থাকা আনোমল বিষ্ণোই তাদেরকে অন্য কোনো দেশে নিয়ে যাবেন।
গত ১৪ এপ্রিল সালমানের অ্যাপার্টমেন্টে গুলির পর গুজরাট থেকে ভিকি গুপ্তা এবং সাগর পাল নামে দুজনকে আটক করা হয়। এরপর ২৬ এপ্রিল ধরা হয় অনুজ থাপান এবং অজ্ঞাত আরেকজনকে। এই চারজনের মধ্যে অনুজ থাপানের মৃত্যু হয় পুলিশ হেফাজতে।
আরও পড়ুন: