কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার এক নারী জঙ্গির দেওয়া তথ্যে বাড়িটি চিহ্নিত করা হয়৷
Published : 02 Jul 2024, 02:10 PM
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে চারতলা একটি বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশের অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার বরপা আড়িয়াবো এলাকার ওই ভবনে অভিযান শুরু হয় বলে এটিইউর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান।
তিনি বলেন, চারতলা ভবনটির মালিক সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেন৷ তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট টার্গেট করে অভিযান চলছে৷ এখানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্যরা আস্তানা গেড়েছে বলে তথ্য পেয়েছেন তারা।
অভিযান শুরুর আগে ছানোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, “গত ৮ ও ৯ জুন নেত্রকোণা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের একটি দোতলা বাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়৷ তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার কক্সবাজার থেকে এক নারী জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“পরে ওই নারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রূপগঞ্জের বরপা আড়িয়াবো এলাকায় চিহ্নিত করা হয় চারতলা এ ভবনট। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে এটিইউ।”
তিনি বলেন, “এ ভবনের একটি ফ্ল্যাটে ‘বোমা তৈরিতে এক্সপার্ট’ এক ব্যক্তিরও অবস্থান রয়েছে বলে তথ্য পেয়েছি৷ অভিযান শুরুর আগে বাড়ির সব সদস্যদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ নিরাপত্তার জন্য গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে৷”
ভবনটির নিচতলার ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, তিনি তিন বছর আগে ভাড়া ওঠেন। ভবনের মালিক জাকির হোসেনের পরিবারের কেউ এ বাড়িতে থাকেন না৷ তিন মাস আগে তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে নতুন ভাড়াটিয়া ওঠেন৷
তাদের পরিবারে চারজন সদস্য; স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তান৷ মধ্য বয়সী গৃহকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকায় কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন৷ গত তিনদিন ধরে তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ রয়েছে।
গত তিনমাসে সন্দেহজনক কোনো গতিবিধি নজরে পড়েনি বলে জানিয়ে শাহনেওয়াজ বলেন, “সকালে পুলিশের লোকজন বাড়ি ঘিরে রেখেছে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। পরে তারা এ ভববনে জঙ্গির উপস্থিতির কথা জানিয়েছে এবং আমাদের সবাইকে বাড়ি থেকে নিরাপদে বের করে আনছে৷”
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বরপা এলাকার ভবনটি ঘিরে অভিযান শুরু হয় বলে এটিইউর সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মাহফুজুল আলম রাসেল জানান।
রাসেল বলছিলেন, “সোমবার রাতে কক্সবাজার থেকে এক নারী জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাড়িটি চিহ্নিত করা হয়৷”
ঘটনাস্থলে এটিইউ ও সোয়াট টিম ছাড়াও রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরাও রয়েছেন৷
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা বলেন, “অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটের সদস্যরা জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ভবনটি ঘিরে রাখার খবরে জেলা পুলিশের সদস্যরা সেখানে যায়। অভিযান শেষে বিস্তারিত বলা যাবে৷”