তিন বছরে ৮ শতাংশ বাঘ বৃদ্ধি পেয়েছে।
Published : 06 Oct 2023, 02:21 AM
সবশেষ চার বছর আগের জরিপে সুন্দরবনে ১১৪টি বাঘ থাকার কথা জানিয়ে চলতি জরিপে বাঘের সংখ্যা বাড়ার প্রত্যাশা করছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
বাঘ ‘বিলুপ্ত হচ্ছে না’ মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, “বিলুপ্ত হচ্ছে না, বৃদ্ধি হচ্ছে। বাঘ গণনা চলমান আছে, এটা শেষ হলে প্রকৃত সংখ্যা বলতে পারব। আমরা আশাবাদী বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে। আগামী বছর বাঘের সংখ্যা জানা যাবে।”
পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে বাঘ গণনা, অবৈধভাবে হরিণ ও মাছ শিকার, বিভিন্ন অপরাধ দমন ও জীববৈচিত্র্যের উন্নয়নের বিষয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার বলেন, “সুন্দরবন থেকে বাঘ বিলুপ্ত হচ্ছে না। ২০১৫ সালে ক্যামেরা ট্র্যাকিংয়ে সুন্দরবনে ১০৬টি বাঘ পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের জরিপে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। তিন বছরে ৮ শতাংশ বাঘ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত অক্টোবর থেকে ক্যামেরা ট্র্যাকিং শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে বাঘ গণনা করা হচ্ছে। এটা শেষ হলে আগামী বছর পূর্ণাঙ্গ বাঘের সংখ্যা জানতে পারব।”
সুন্দরবনে হরিণ শিকারের অভিযোগে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ১৯৯ জনের বিরুদ্ধে বন বিভাগ ৫৪টি মামলা করেছে। এসব মামলায় ৭৭ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান পরিবেশমন্ত্রী।
সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধে চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা লাগবে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অগাস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে সুন্দরবনে বিষ/রাসায়নিক প্রয়োগে মাছ ধরার অভিযোগে ৮২ জনকে আটক করা হয়েছে। ১৭৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ৭৩টি বন মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
বনে অপরাধ দমন ও পরিবেশ উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “সুন্দরবনে স্মার্ট পেট্রোলিং ব্যবস্থা চালু করেছে সরকার। এর মাধ্যমে সুন্দরবনের বিভিন্ন অপরাধ দমনে উল্লেখযোগ্য সফলতা পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে গত জুন পর্যন্ত স্মার্ট পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে ২ হাজার ৪৯৮ জন অপরাধীকে আটক এবং ১ হাজার ১৬৯টি ট্রলার/জলযান জব্দ করা হয়েছে।
“ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে সুন্দরবনের সুরক্ষা ও উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে সুন্দরবন ও এর জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সরকার ২৯৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ছয়টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে সুন্দরবনের প্রতিবেশ, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা, বিজ্ঞানভিত্তিক বন ব্যবস্থাপনা, ও উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।”
প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ৪ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে:
https://www.facebook.com/bdnews24/posts/pfbid0vSiwKyvRg53PpP5JZ5QHjrPSWKZRs4sSjNC4P4kWZb2WX3QjNuXWS2h156T6rEaYl