সূচকে আগের বছরেও আট ধাপ এগিয়েছিল বাংলাদেশ।
Published : 20 Nov 2023, 08:06 PM
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের; ২০২৩ সালের র্যাংকিংয়ে ৪১ নম্বর অবস্থান থেকে ৪৬ নম্বরে উঠে এসেছে।
সোমবার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০২২ সালেও বাংলাদেশের অবস্থার উন্নতি হয়েছিল। সূচকে ২০২১ সালের তুলনায় ৮ ধাপ এগিয়ে ৪১ নম্বরে উঠে এসেছিল বাংলাদেশ।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অন গভর্নেন্স প্রকাশিত ২০২৩ সালের এ সূচকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হাইতি। ঝুঁকির দিক থেকে শীর্ষ পাঁচে রয়েছে চাঁদ, মিয়ানমার, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গো ও রিপাবলিক কঙ্গো।
১৫২ দেশের এ তালিকায় থাকা সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ আইসল্যান্ড, যার অবস্থান ১৫২। এরপর রয়েছে ফিনল্যান্ড ও ইস্তোনিয়া।
ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অন গভর্নেন্স মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার পরিপালন, ঘুষ ও দুর্নীতি, আর্থিক স্বচ্ছতা ও মানদণ্ড, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং আইনগত ও রাজনৈতিক- এ পাঁচ বিষয় বিবেচনা নিয়ে এ তালিকা করেছে। গত ১২ বছর ধরে সংস্থাটি এগুলোর ভিত্তিতে সূচক প্রকাশ করে আসছে।
এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ৬১ ও শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৬২। তবে ভারতের নাম নেই। যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে ১১৯, যুক্তরাজ্য ১৪০ ও চীন ২৭ নম্বর অবস্থানে।
পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এ সূচক তৈরি করা হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা পরিপালনে ৬৫, ঘুষ ও দুর্নীতি আর্থিক স্বচ্ছতা ও মানদণ্ড, আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকিতে ১০ করে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় ৫ নম্বর রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, রিপোর্টে বাংলাদেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে উন্নতির কারণ হিসেবে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কাঠামোর মানোন্নয়নের বিষয় উল্লেখ করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এসব বিবেচনায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ৫টি দেশকে পিছনে ফেলে র্যাংকিং এর ৪১ নম্বর দেশ হতে ৪৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানিলন্ডারিং (এপিজি) এর মিউচুয়াল ইভালুয়্যেশন রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ এফএটিএফ (ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাক্সফোর্স) এর ৪০টি সুপারিশ বাস্তবায়ন করেছে।