ছয় মাসে রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ

ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফিরলে অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছাকাছি পৌঁছানোর আশা এনবিআরের।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Jan 2024, 03:19 PM
Updated : 31 Jan 2024, 03:19 PM

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করেছে এনবিআর, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি। 

বুধবার দেশের প্রধান রাজস্ব আহরণকারী প্রতিষ্ঠান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আয়ের তথ্য প্রকাশ করে। 

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবার প্রায় ২০ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে। 

এ বিষয়ে এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিশ্বে চলমান বাণিজ্যিক মন্দার কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশেও চলছে। এরপরও গত ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ সন্তোষজনক। 

“ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণে প্রায় ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আমি এনবিআরের সফলতা হিসেবে দেখছি। বিশেষ করে আয়কর খাতের প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশের ঘর অতিক্রম করায় আমরা খুবই আশাবাদী হয়ে উঠেছি।” 

বৈশ্বিক ও দেশের বাণিজ্য পরিস্থিতি আরেকটু ভালো অবস্থায় গেলে রাজস্ব আহরণে এ বছরের লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছাকাছি পৌঁছাতে পারব বলে তার আশা। 

চলতি অর্থবছর সরকার এনবিআরের মাধ্যমে মোট ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। 

খাতভিত্তিক রাজস্ব আহরণের হিসাবে দেখা যায়, ডিসেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৬৪ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট খাত থেকে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময় পর্যন্ত এ খাত থেকে আদায় হয়েছিল ৫৫ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা। এ খাতে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। 

প্রথমার্ধে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৮২৪ কোটি টাকার রাজস্ব আহরিত হয়েছে আয়কর ও ভ্রমণকর খাত থেকে, প্রবৃদ্ধির হার ১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময় পর্যন্ত আদায় হয়েছিল ৪৪ হাজার ৬৪২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। 

এবার ডিসেম্বর পর্যন্ত তুলনামূলক কিছুটা কম ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে আমদানি শুল্ক খাতে। ডিসেম্বর পর্যন্ত আহরণ হয়েছে ৪৯ হাজার ৬৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময় ছিল ৪৪ হাজার ৯৫০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।