সাত বছরের বেশি বয়সী এমন নাগরিকদের মধ্যে নারীর চেয়ে পুরুষের হার বেশি এবং পল্লি এলাকার চেয়ে অনেক এগিয়ে শহরের বাসিন্দারা।
Published : 17 Jul 2023, 08:16 PM
দেশে প্রায়োগিক স্বাক্ষরতা রয়েছে এমন নাগরিকের সংখ্যা এখন ৬২ দশমিক ৯২ শতাংশ; যারা পড়তে ও লিখতে পারার পাশাপাশি বুঝতে ও গণনা করতে পারেন।
প্রথমবারের মতো সাত বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সী নাগরিকদের ওপর ‘প্রায়োগিক স্বাক্ষরতা নিরূপণ জরিপ ২০২৩’ এ এ তথ্য উঠে এসেছে।
সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত এ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এতে দেখা যায় প্রায়োগিক স্বাক্ষরতা সম্পন্নদের মধ্যে পুরুষের হার বেশি। সাত বছরের মধ্যে বেশি বয়সীদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ পুরুষ ও ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ নারী।
সাক্ষরতার হারের দিক থেকে পল্লি এলাকার চেয়ে অনেক এগিয়ে শহরের বাসিন্দারা; গ্রাম এলাকায় এ হার ৫৮.৮৬ শতাংশ এবং শহরে ৭১ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবন সম্মেলন কক্ষে জরিপের ফলাফলের মোড়ক উম্মোচন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এসময় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত উপস্থিত ছিলেন।
জরিপ প্রকল্পের পরিচালক মোস্তফা আশরাফুজ্জামান বলেন, পড়তে ও বুঝতে পারা, মৌখিক ও লিখিতভাবে বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করতে পারা, যোগাযোগ স্থাপন করতে পারা এবং গণনা করতে পারাকে প্রায়োগিক সাক্ষরতা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
তিনি জানান, এর আগে ২০১১ সালে প্রায়োগিক স্বাক্ষরতা জরিপ পরিচালনা করা হয়েছিল, যাতে ১১ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নাগরিকদের অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছিল। এবার ৭ বছরের বেশি বয়সীদের ওপর তা পরিচালনা করা হয়। আগের জরিপে প্রায়োগিক স্বাক্ষরতার হার পাওয়া গিয়েছিল ৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। এবার ১১ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
প্রকল্প পরিচালক জানান, এক হাজার ২৪ জন গণনাকারী ৬৪ জেলার ৮১ হাজার ৯১০টি খানা থেকে ৭ থেকে তদুর্ধ্ব বয়সের নাগরিকের তথ্য নিয়ে এ জরিপ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
এতে দেখা গেছে, ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার পাওয়া গেছে ৭২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ১৫ বছরের বেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে এ হার ৬০ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
পরিচালক বলেন, এবারের জরিপে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্টকে (এসডিজি) উদ্দেশ্য করে ইউনেস্কোর বর্ণনা অনুযায়ী বয়সে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নাগরিকের প্রায়োগিক জ্ঞান নির্ণয়ের জন্য ১০০ নম্বরের প্রশ্নমালা সাজিয়ে অংশগ্রহণকারীদের পূরণ করতে দেওয়া হয়, যাতে পড়া, লেখা, বর্ণনা ও প্রাথমিক গণনা ছিল। এরমধ্যে যারা ২৫ এর কম স্কোর পেয়েছেন তাদের অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন নয় বলে ধরা হয়েছে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ৭ বছর বা তদূর্ধ্ব উন্নত পর্যায়ের সাক্ষরজ্ঞান আছে ৪৩ দশমিক ৬২ শতাংশ নাগরিকের। প্রাথমিক পর্যায়ের স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন ১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। আংশিক স্বাক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন এবং ১১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং ২৬ দশমিক ০৫ শতাংশ নাগরিক স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন নয়।