কৃষিকাজে ২৫ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফের প্রস্তাব রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।
Published : 06 Jul 2023, 11:11 PM
প্রচলিত ভূমি ব্যবস্থায় বঙ্গাব্দ ধরে যে খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়ে থাকে, তা অর্থবছরভিত্তিক করতে চাইছে সরকার।
আর কৃষিকাজে ২৫ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফের বিধানও প্রস্তাব করা হয়েছে ‘ভূমি উন্নয়ন কর বিল, ২০২৩’-এ।
বৃহস্পতিবার ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাতীয় সংসদে বিলটি তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৭৬ সালের ল্যান্ড ডেভেলপমন্টে ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স রহিত করে নতুন করে এই আইনটি করা হচ্ছে।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় বঙ্গাব্দ (বৈশাখ–চৈত্র) হিসাবে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়।
নতুন বিলে বলা হয়েছে, ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হবে জুলাই–জুন অর্থ বছর হিসাবে। প্রতি বছর জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে পরবর্তী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে ভূমি উন্নয়ন কর জরিমানা ছাড়া দেওয়া যাবে।
সরকার যেকোনো ব্যক্তি বা যেকেনো শ্রেণির ব্যক্তিবর্গ বা সংস্থাকে উন্নয়ন কর মওকুফ করতে পারবে।
বিলে বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা যাবে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতি সারা দেশে পূর্ণরূপে প্রবর্তিত তিত না হওয়া পর্যন্ত এই পদ্ধতির পাশাপাশি প্রচলিত পদ্ধতিতে যে কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এক নাগাড়ে তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করা হলে প্রথম থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত বার্ষিক ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে জরিমানা হবে। তৃতীয় বছর শেষে বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর সার্টিফিকেট মামলা করে আদায় করা হবে।
বিলে বলা হয়েছে, কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি বা পরিবারভিত্তিক কৃষি ভূমির মোট পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর বা ২৫ বিঘা পর্যন্ত হলে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না। এ ছাড়া আঁখ ও লবণ চাষের ভূমি ও কৃষকের পুকুরও (বাণিজ্যিক মৎসচাষ ব্যতীত) মওকুফের আওতায় থাকবে।
বিলটি আইনে পরিণত হলে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে সর্বসাধারণ উপকৃত হবেন এবং স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে, বলছেন ভূমিমন্ত্রী।
বিলে বলা হয়েছে, এই আইন খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান-এই তিন পার্বত্য জেলায় এই আইন কার্যকর হবে না। কৃষি জমি পল্লী বা পৌর এলাকা- যেখানেই হোক, সব ক্ষেত্রে অভিন্ন ভূমি উন্নয়ন কর হার ও শর্ত প্রযোজ্য হবে। অকৃষি ভূমির খাজনা নির্ধারণ করতে ভূমির মান ও ব্যবহার অনুযায়ী দেশের সকল ভূমি একাধিক শ্রেণিতে শ্রেণিবিন্যাস করা যাবে।