৫ মাস ৫০ লাখ পরিবার পাবে ১৫ টাকা দরে চাল: খাদ্যমন্ত্রী

দেশে চালের ‘প্রচুর’ মজুত থাকায় স্বস্তিতে সাধন মজুমদার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Feb 2023, 03:41 PM
Updated : 16 Feb 2023, 03:41 PM

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে মার্চ থেকে পাঁচ মাস ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেবে সরকার।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “আগামী মার্চ থেকে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে। মার্চ, এপ্রিল, মে এবং সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর- এই পাঁচ মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলবে।

“রমজানে এক কোটি পরিবারকে ভিজিএফে চাল দিতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আমরা চাই, মিয়ানমার থেকে আনা ভালো আতপ চাল রমজানে দেব। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই চাল বিতরণ করবে। এই বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এক কোটি মানুষকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।”

এর পাশাপাশি ওএমএসে আটার বরাদ্দও বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সাধন বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে এবার সর্ববৃহৎ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। আড়াই হাজার ডিলারের মাধ্যমে চাল ও আটা বিতরণ করা হচ্ছে। অন্য বছর এই সময়ে ওএমএস কর্মসূচি বন্ধ রাখা হলেও এবার ওএমএসে নিম্ন আয়ের মানুষ ৩০ টাকা কেজিতে চাল এবং ২৪ টাকা কেজিতে আটা কিনতে পারছেন।”

দেশে চালের ‘প্রচুর’ মজুত থাকায় স্বস্তিতে থাকার কথাও জানান খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতেও দেশে চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে, চাল নিয়ে কোনো হাহাকার নেই। এটাই আমাদের জন্য বড় পাওয়া। রমজান মাসে মানুষকে অন্তত চালের জন্য বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে না।”

চাল মজুদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “বেসরকারিভাবে চাল আমদানির পথ খোলা রয়েছে, তবে কম চাল আসছে। দেশে প্রচুর চালের মজুত আছে। আমাদের সরকারি মজুতও প্রচুর। স্বাধীনতার পর থেকে এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি মজুত।”

অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে পাঁচ লাখ টন আমন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “সেখানে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৩০ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৩ টন চাল কেনার জন্য মিলারদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আশা করি, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। কৃষক বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন, তাই সরকার ধান কিনতে পারছে।”

আমনের পর বোরোতেও যদি বাম্পার ফলন হয়, তবে আমদানির আর প্রয়োজন হবে বলে মনে করেন না তিনি।

চালের বস্তায় ধানের জাত লেখা বাধ্যতামূলক করতে একটি আইন করা হচ্ছে জানিয়ে সাধন বলেন, “খসড়া আইনটি ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আছে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠক আছে। আইনমন্ত্রী ভেটিং করে দিলেই সেটি পাসের জন্য মন্ত্রিসভায় তোলা হবে।

“চাল কতটুকু ছাঁটাই করা যাবে তা আইনে থাকবে। আইনের খসড়ায় চাল অবৈধ মজুতের শাস্তি যাবজ্জীবন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।”