বীমার এজেন্ট হওয়ার পথ খুলল ব্যাংকের

এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে মঙ্গলবার থেকে। এতে বীমা খাতের প্রতি আস্থা তৈরি হবে গ্রাহকের বলে মনে করছেন অনেকেই।

সাধারণ ও জীবন বীমাসহ সব ধরনের বীমার করপোরেট এজেন্ট হতে পারবে ব্যাংক। সরকারের ‘ব্যাংকাসুরেন্স’ অনুমোদনের পর এবার বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে এ সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

মঙ্গলবার এ বিষয়ে সার্কুলার দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এদিন থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

মাস কয়েক আগে থেকে এ নিয়ে আলোচনার পর সরকার ‘ব্যাংকাসুরেন্স’ চালু করে, যা এ সার্কুলারের মাধ্যমে বাস্তব রূপ পেল।

ব্যাংকগুলোকে বীমা কোম্পানির পলিসি বিক্রির সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ‘‘সরকারের অনুমোদনক্রমে সকল তফসিলি ব্যাংক বীমা কোম্পানির ‘করপোরেট এজেন্ট’ হিসেবে বীমাপণ্য বিপণন ও বিক্রয় ব্যবসায় নিয়োজিত হতে পারবে।”

বীমা পণ্য বিক্রি ও সেবায় ব্যাংককে সম্পৃক্ত করে বীমা খাতে আস্থা বাড়ানোর অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগের কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে বীমা গ্রহীতার নতুন পলিসি খোলা ও প্রিমিয়ামের অর্থ লেনদেন আরও নির্ভরযোগ্য উপায়ে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমান উপদেষ্টা রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘বর্তমান আইন অনুযায়ী কোনো নতুন বীমা হলে এজেন্টকে কমিশন হিসেবে ১৫ শতাংশ দিতে পারে বীমা কোম্পানিগুলো। ব্যাংক করপোরেট এজেন্ট হলে তাদের গ্রাহকদের কাছে বীমা পলিসি সুবিধা দিতে পারবে।’’

এতে বীমা কোম্পানির সঙ্গে গ্রহীতার লেনদেনে বিশ্বস্ততা বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি।

বর্তমানে বীমা কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের পলিসি বিক্রির কাজ এজেন্টের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অনিয়ম ও বিপত্তির কথা শোনা যায়।

বীমা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৮১টি বীমা কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ বীমা ৪৬টি ও জীবন বীমা ৩৫টি। এগুলোর মধ্যে ৫৭টি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত।