আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম কমতে থাকায় নিয়মিত আমদানিতে ধাপে ধাপে দাম কমানোর সুযোগ পাচ্ছে সরকার।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় কানাডা থেকে ৫০ হাজার টন এমওপি সার এবং মরক্কো থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার কেনার দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দুটি প্রস্তাবেই আগের তুলানায় দামে কিছুটা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
গত প্রায় দুই মাস ধরে বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সার কেনায় দাম ধাপে ধাপে কমে আসার খবর দিয়েছে ক্রয় কমিটি।
অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব বলেন, “কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় কানাডা কমার্শিয়াল করপোরেশনের কাছ থেকে নবম লটে ৫০ হাজার টন মিউরেট-অব-পটাশ বা এমওপি সার কেনার প্রস্তাব ক্রয় কমিটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
“আগের লটে প্রতি টনের দাম ছিল ৭৭৮ দশমিক ১৫ ডলার। এবারের লটে প্রতি টনের দাম ৬৭৯ দশমিক ৬৫ ডলার। এই কেনাকাটায় মোট খরচ হবে ৩৫৮ কোটি ৪৮ লাখ ১৩ হাজার ৯২৫ টাকা।”
বিএডিসির আরেকটি প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় মরক্কোর ওসিপির কাছ থেকে দশম লটে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার কেনারও অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। এখানেও দামের কিছুটা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।
তিনি বলেন, “টিএসপি সার কেনাকাটায় প্রতি টনের দাম পড়ছে ৪৭৫ ডলার। এরআগে নবম লটে প্রতি টনের দাম ছিল ৬৮৭ দশমিক ২৫ ডলার। এখানেও দাম কিছুটা কমেছে। এই কেনাকাটায় মোট ১৫০ কোটি ৬৭ হাজার ৮০০ টাকা খরচ হবে।”