এই চুক্তির আওতায় ডব্লিউডি-২ নকশা, ইনস্টলেশন এবং সাতটি স্টেশনে কম্পিউটারভিত্তিক ইন্টারলক সিগন্যালিং সিস্টেম করা হবে।
Published : 23 Jul 2023, 08:08 PM
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগকে আরও শক্তিশালী করতে এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে দেশের রেল লাইন ব্রড গেজে রূপান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন।
রেল ভবনে রোববার বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ভারতের কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মধ্যে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ট্র্যাক দ্বিগুণ করতে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান তিনি।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, “ভারত তাদের রেল ব্যবস্থাকে ব্রডগেজে রূপান্তর করেছে। তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থাকে ব্রড গেজে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে। যাতে একই ধরনের রেল ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের বর্তমান রেল ব্যবস্থা আরও বেশি শক্তিশালী হয়। একইসঙ্গে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত করে।”
রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে জানান হয়েছে, ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে নতুন তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকারের ৫২১ কোটি টাকা এবং ভারতীয় লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি) ২ হাজার ৮২১ কোটি টাকা ঋণে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
রেলপথমন্ত্রী সুজন এবং ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক নাজনীন আরা কেয়া এবং কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার সুভারজিত জানা নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন।
রেলপথমন্ত্রী জানান, এই চুক্তির আওতায় ডব্লিউডি-২ নকশা, ইনস্টলেশন এবং সাতটি স্টেশনে কম্পিউটারভিত্তিক ইন্টারলক সিগন্যালিং সিস্টেম করা হবে। নির্বাচিত লেভেল ক্রসিংগুলোর ইন্টারলকিং এবং অপটিক্যাল ফাইবারভিত্তিক টেলিকমিউনিক সিস্টেমের কাজ এবং আন্তঃসংযোগভিত্তিক টেলিযোগাযোগ সিস্টেমের জন্য সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে।
রেলের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, “রেলওয়ে ব্যবস্থায় আমাদের ইন্টার সেকশন পয়েন্ট যেগুলো ছিল, তার আটটির মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোগত রেল ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।”