শেখ হাসিনার সফরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের আলোচনায় ঢাকা-দিল্লি

সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নয়া দিল্লি সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2022, 02:05 PM
Updated : 31 July 2022, 02:05 PM

সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনে আশাবাদী বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই আশাবাদ প্রকাশ করেন।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন হচ্ছে বলে ভারতের সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে।

সেই বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, “আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে দেখব, কী কী করা যাবে। এটা (রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র) ওয়ান অব দ্য উইশলিস্ট হিসাবে আছে।”

ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে বাগেরহাটের রামপালে, যার কাগুজে নাম ‘মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট’।

দেড়শ কোটি ডলারের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে অর্থায়নের বড় অংশের জোগান দেবে ভারতের এক্সিম ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস (বিএইচইএল) এই নির্মাণ কাজ করছে।

ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে ফিফটি-ফিফটি অংশীদারিত্বের এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালে শুরু হয়।

Also Read: ৩ শর্তে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে সায় ইউনেস্কোর: তৌফিক ইলাহী

রামপালে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ হুমকিতে ফেলবে বলে তার বিরোধিতা করে আসছে পরিবেশবাদীরা।

তবে বাংলাদেশে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সুন্দরবন রক্ষায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে, যাতে পরিবেশের ক্ষতি ন্যূনতম মাত্রায় রাখা হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নয়া দিল্লি সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আলোচ্যসূচি চূড়ান্ত করতে এখন ব্যস্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রলালয়ের কর্মকর্তারা।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মোংলা বন্দর হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পণ্য আনা-নেওয়ার করতে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে।

“কিছু ট্রায়াল রান চলতেছে। এছাড়া ওদের বন্যার কারণে অ্যাফেক্টেড হয়েছে, সেটার জন্য আমরা বিশেষ কিছু করছি, নভেম্বরের একটা সময় পর্যন্ত এটা সময় আছে। রেগুলার ট্রান্সশিপমেন্ট যা আছে, সেগুলোর ট্রায়াল প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। বিভিন্ন পর্যায়ে হয়েছে, আরও কিছু বোধহয় হচ্ছে, চলমান রয়েছে।”

সিলেট দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য ভারত বিশেষ অনুরোধ করেছে বলে জানিয়ে মাসুদ বলেন, “স্পেশাল রিকোয়েস্ট তারা যেটা করেছে, সিলেট দিয়ে… তাদের রাজ্যগুলোতে কিছু তাদের মালামাল নিতে হবে ওদের বন্যার কারণে, সেটা আমরা বিশেষ বিবেচনায় করেছি, আগেও একবার করা হয়েছিল।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের আগে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক হওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “জেআরসির তারিখ তো তৈরি হওয়ার কথা।

“হতে হলে অগাস্টেই হবে। আমাদের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় আছে, তাদের সাথে যোগাযোগ আছে। ডেট আমি এখনও শুনি নাই।”