সরে আসার ভাবনা থাকলেও বাজেটে বাড়বে ভর্তুকি: পরিকল্পনামন্ত্রী

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থবিরতার মধ্যেও আসন্ন বাজেটে কৃষি এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে ভর্তুকি না কমিয়ে বরং বাড়ানোর প্রস্তাব আসতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জাফর আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2023, 07:27 PM
Updated : 30 May 2023, 07:27 PM

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ থাকলেও বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি সুবিধা দেওয়ার কার্যক্রম থেকে হুট করে বেরিয়ে আসতে চায় না সরকার। পর্যায়ক্রমে কৌশলগতভাবে তা করার কথা বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। 

আর তাই কোভিড মহামারীর পর ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থবিরতার মধ্যেও আসন্ন বাজেটে কৃষি এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ভর্তুকি না কমিয়ে বরং বাড়ানোর প্রস্তাব আসতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

আগামী ১ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব জাতীয় সংসদে ওঠার আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, ভর্তুকি শেষ পর্যন্ত ন্যায়ের বিপক্ষে যায়। 

“ভর্তুকির বিষয়ে শুধু আইএমএফের কথা নয়, আমরাও চাই ভর্তুকি তুলে দিতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন, ভর্তুকি শেষ বিচারে নাইদার ইকোনমিক, নর জাস্টিস, ফেয়ারও নয়। কারণ আপনাকে ভর্তুকি দিলে উনাকে কম দিতে হয়।” 

মান্নান, বলেন, “আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি ব্যয় করতে পারতাম, কিন্তু পারছি না। হঠাৎ করেতো বেরিয়ে আসা যায় না। পর্যায়ক্রমে কৌশলগতভাবে বেরিয়ে আসতে হবে। আইএমএফও তাই বলে। আইএমএফ আমাদেরকে বলে নাই যে, আপনারা এক ধাপে বৈপ্লবিকভাবে পাল্টে দেন। আইএমএফ বলছে, আপনারা এগুলো নিয়ে চিন্তা করেন। আমরা ভর্তুকি থেকে সরে আসার চিন্তা করছি।” 

ভর্তুকি বাড়বে, আওতা নয় 

নতুন বাজেটে ভর্তুকি কেমন হতে পারে, জানতে চাইলে সরকারি চাকরি থেকে রাজনীতিতে এসে মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া এমএ মান্নান বলেন, “(ভর্তুকি থেকে) সরে আসার ক্ষেত্রে আমাদেরও কিছু বক্তব্য আছে। ঢালাওভাবে সবক্ষেত্র থেকে আমরা সরে আসব না। সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় অসহায় মানুষদের যে সামান্য টাকা দেয় সেখান থেকে আমরা সরে আসতে পারব না, বরং এখানে আমি বলব আরও বাড়াও।

আইএমএফ এর কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার সময় জ্বালানির দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানোসহ আর্থিক খাতের সংস্কারে বেশ কিছু শর্তে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। 

বিদায়ী অর্থবছরে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার মত, যা জিডিপির ৩.৯ শতাংশ। এবার তা বেড়ে ৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আভাস মিলেছে।  

এম এ মান্নান বলেন, “আমি বাজেটের ড্রাফট যতটুকু দেখেছি, এবারের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তার খাতে ভর্তুকি আরও বাড়তে পারে। তবে আর আওতা বাড়ানো হবে না। শুধুমাত্র প্রতিবন্ধীদের বাড়তে পারে। তাদেরকে এখন ৭০০ করে দেওয়া হয়। এটা হাজার খানেক হতে পারে। আর নতুন বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, অসহায়, বয়স্ক- এদের জন্য ভাতা যেটা আছে সেটাই থাকবে। আরও নতুন নতুন অনেকগুলো উপজেলা আসবে।” 

তিনি বলেন, “কৃষি খাতে সার, বীজ, সেচ, কৃষি, বিদ্যুতে আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি। এর ফলে আমরা ভালো ফসল পাচ্ছি। এখন আমাদের ঘরে ধান আছে, গম আছে, ভুট্টা আছে। একটা স্থিতিশীল পরিবেশে আছি। এরপরও কিন্তু একটা ঝুঁকি রয়ে যায়; যেমন একটা সিডর হলেই কিন্তু আমাদেরকে উড়িয়ে দিতে পারে।” 

কৃষি খাতের ভর্তুকিও বহাল রাখার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করার জন্য আরও যেটুকু বাকি আছে সেটুকু অর্জন করতে হবে। এজন্য সার, বীজ, গবেষণা, যান্ত্রিকীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ এগুলোকে আমরা প্রমোট করব।” 

পরের (২০২৪-২৫) বাজেটে তেল, গ্যাস এবং ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতে দেওয়া ভর্তুকির বিষয় চিন্তাভাবনা করা হবে বলে জানান তিনি। 

‘বড় চ্যালেঞ্জ’ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ 

বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্য ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশে। আর পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে এপ্রিলে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। 

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, “পৃথিবীতে কোনো সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না শেষ বিচারে। বাজার একটা অদৃশ্য শক্তিতে চলে; নিজে নিজে অপারেট করে। এখানে বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে ক্ষতি হয়। 

“আমাদের মতো দেশে প্রান্তের সঙ্গে মসৃণ যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে বাজারকে চব্বিশ ঘণ্টা ফ্রি রাখতে পারলে আমি মনে করি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। দ্বিতীয়ত, বাজারের সরবরাহ ঠিক রেখে প্রয়োজনীয় পণ্যের পরিমাণও বাড়াতে হবে।”

বিশেষ করে আমাদানি নির্ভর ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনে শুল্ক ছাড় দিয়ে হলেও বাজার নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন মান্নান। 

তিনি বলেন, “সব আমদানি পণ্যে শুল্ক ছাড় দিলে তো রাজস্ব আদায়ে আঘাত আসবে। তাই কোন জিনিস কতটা প্রয়োজন তার অগ্রাধিকার ক্রমতালিকা করতে হবে। বিলাসী পণ্যকে সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ধরে তেল, ডালসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য আমদানিতে শুল্ক সুবিধা পাবে।”

এছাড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বোঝাপড়ার মাধ্যমে বাজার মনিটরিংসহ সমন্বিত কৌশলের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কৌশলের কথা বলেন মন্ত্রী।

নতুন প্রকল্প নেই, বরাদ্দ পুরনোগুলোতেই 

নির্বাচনের বছরের বাজেটে জনতুষ্টিমূলক কোনও বরাদ্দ থাকবে কিনা জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “নির্বাচনী বাজেট বলে আমরা কিছু করি না। আমরা অতীতেও নির্বাচন করেছি, সেসব বছরে নির্বাচনী বাজেট বলে আমরা কিছু রাখি নাই।” 

“কোনও মেগা প্রকল্পও আমার হাতে নেই, বরং চলমান মেগাপ্রকল্প- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেল প্রকল্পসহ চলমান প্রকল্পগুলো শেষ করার জন্য যে অর্থায়ন প্রয়োজন, তা আগামী বাজেটে রাখা হবে।” 

আগামী অর্থবছরের জন্য ইতোমধ্যে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে সরকার, যা আগের অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে দশ মেগা প্রকল্পে মোট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৫২ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এই বরাদ্দ চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির ৩২ শতাংশ বেশি। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে দশ মেগা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪০ হাজার ১১ কোটি টাকা। 

রাজস্ব আয় বাড়াতে পরিচিত খাতই ভরসা 

আসন্ন নতুন বাজেটে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে ৫ লাখ কোটি টাকার মত, যা বিদায়ী অর্থবছরের মূল লক্ষ্যমাত্রার ১৫ শতাংশ বেশি।  

নতুন বাজেটে অতিরিক্ত অর্থের যোগান দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য আমরা পরিচিত খাতেই যাব, যেমন আয়কর, করপোরেট কর এবং ভ্যাট। ভ্যাট থেকে যা পাওয়ার কথা তার চারভাগের একভাগও আমরা আনতে পারি নাই। আমরা ২০১২ সাল থেকে চেষ্টা করেও ডিজিটাল সিস্টেমের উন্নয়ন ঘটাতে পারি নাই। সুতরাং এ খাতে বিরাট কাজ করার মত অবস্থা রয়েছে।” 

অনেক করপোরেট করদাতা, এমনকি বহুজাতিক কোম্পানিগুলো স্বচ্ছতার সাথে কর পরিশোধ করে বললেও তা ‘সঠিক নয়’ বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। 

তিনি বলেন, “তাদের শাখা আছে দুনিয়ার সর্বত্র। তারা বলে ওখান থেকে ক্রয় হয় ওই মাল ওখান থেকে পাঠানো হয়। দেখানো হয় পরিষ্কার খাতায়। কিন্তু আমরা মার খাচ্ছি। এগুলোকে অ্যাড্রেস করা হবে। এখান থেকে ট্যাক্স আনতে হবে।” 

আমদানি করা বৈদ্যুতিক পণ্যের দাম বাড়তে পারে 

আগামী বাজেটে দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় দেশে তৈরি হয় এমন বৈদ্যুতিক পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করা হবে বলে জানান এমএ মান্নান। 

তিনি বলেন, “আমাদের দেশে এখন ফ্রিজ, এসি, মাইক্রোওভেন, ফ্যান, হিটারসহ আরও অনেক পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। ডব্লিউটিওর আইনের কারণে নাও করা যায় না। তারপরও দেখতে ফ্রেন্ডলি কিন্তু বাস্তবে আনফ্রেন্ডলি এমন নীতির মাধ্যমে আমদানি নিরুৎসাহিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।” 

পাচার হওয়া অর্থ জরিমানা দিয়ে ফেরত আনার সুযোগ বাজেটে রাখা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি এর সঙ্গে একমত নয়। এতে লাভও হয় না বলে তার বিশ্বাস।

উচ্চমাত্রায় অর্থনীতি 

গত প্রায় ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের দেশ পরিচালনাকে ‘বিশাল সম্মানের’ বিষয় হিসেবে বর্ণনা করে এই সময়ে দেশের অর্থনীতি একটি গুণগত মানে উন্নীত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। 

এই সময়ে দেশের অর্থনীতির ‘পুরো টেবিলটা উঁচু হয়েছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যদিও নানা ধরনের অপচয় ইত্যাদির কথা বলা হয়, এগুলোকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না, বাস্তব ভিত্তি আছে আমি স্বীকার করি। কিন্তু মূল বিষয়টা হল গোটা অর্থনীতিটা উচ্চমাত্রায় পৌঁছেছে। এর ফলে আমাদের জিডিপি প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।”

জিডিপি ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর আশাবাদ ব্যক্ত করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগের আদর্শ ছিল দেশ থেকে দারিদ্র্য নির্মূল করা। কিন্তু আমরা দেখলাম দারিদ্র্য কমিয়ে আনা সম্ভব হলেও তাত্ত্বিকভাবে দারিদ্র্য নির্মূল করা সম্ভব হয় না। কিছু মানুষ বাই চয়েস দরিদ্র থাকতে চায়, দারিদ্র্যের মধ্যেই তার আনন্দ। এরকম কিছু সাধু পুরুষ রয়েছে।” 

বৈষম্য নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “প্রকট বৈষম্য দৃষ্টিকটূ, দেখতে ব্যথা লাগে। এই ধরনের বৈষম্য কমিয়ে আনা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। আমি মনে করি বৈষম্য হবেই। যেমন মেধার বৈষম্য আছে, প্রযুক্তির বৈষম্য আছে, পুঁজির বৈষম্য আছে, নেটওয়ার্কিংয়ের বৈষম্য আছে- কিছু মানুষ আছে যার উচ্চমহলে হাঁটাহাঁটি আছে তার একটা আলাদা শক্তি আছে। সে একটা আলাদা সুযোগ সুবিধা পায়। 

“এসব বাদ দিয়ে নিছক যে বৈষম্য, তা দূরীভূত করার ক্ষমতা এই অর্থনীতির আছে বলে আমি মনে করি। এই বৈষম্য যদি আরও প্রলম্বিত করা হয়, দরিদ্র মানুষ যদি আরও বেশিদিন দরিদ্র থাকে, কষ্ট পায়; এটা গ্রহণযোগ্য নয়।” 

এসব চ্যালেঞ্জ দূর করাই সরকারের মূল লক্ষ্য বলে জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী। 

তিনি বলেন, “আমাদের সময়ে দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। এটাকে টেকসই করা এবং এখন আমাদের অর্থনীতি যেটার ওপর দাঁড়িয়ে শক্তিশালী হচ্ছে, সেই অবকাঠামো উন্নয়ন টেকসই করা, আমাদের সড়ক রেল এবং বিমানের যে উন্নয়ন হয়েছে, এগুলোকে একটার সঙ্গে আরেকটার সংযোগ করার সময় এসেছে। বাজেটে এ বিষয়টিকে অ্যাড্রেস করা দরকার।” 

আগামী বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত গুরুত্ব পাবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামের স্বাস্থ্যসেবায় চমৎকার সাফল্য অর্জন করেছি। সম্প্রতি জাতিসংঘও এর স্বীকৃতি দিয়েছে। সেটাকে আরও টেকসই করা, আরও এক কদম এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। 

“আর শিক্ষা খাতের উন্নয়নে আমরা ইতোমধ্যে একুশ শতাকের মানানসই সুন্দর স্কুল বানাচ্ছি। কিন্তু অনেক স্কুল আগের মাত্রায় রয়ে গেছে। সেসব স্কুলের পরিবর্তনসহ সার্বিকভাবে শিক্ষার উন্নয়নে আগামী বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে মনে করি।”