ইইউ রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিনিয়োগ বাড়াতে খুবই আগ্রহী এবং বাংলাদেশে এ ধরনের বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।”
Published : 05 Feb 2024, 03:50 PM
বাংলাদেশি পণ্যের বাজার আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি ইউরোপের দেশগুলোতে এদেশের জনশক্তির বৈধ উপস্থিতি বাড়ানোর আগ্রহ দেখিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
সোমবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে এসব সম্ভাবনার কথা বলে যান রাষ্ট্রদূত।
বৈঠক শেষে ফিরে যাওয়ার পথে ইইউ রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে চমৎকার আলোচনা হয়েছে।
“বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশিদারত্ব রয়েছে। বাজেট সাপোর্টের মাধ্যমে চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি,” বলেন হোয়াইটলি।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে জানিয়ে হোয়াইটলি বলেন, “ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সাথে আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারগুলোতে ২৪ বিলিয়ন ডলারের মতো পণ্য রপ্তানি হয়। আমরা বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিনিয়োগ বাড়াতে খুবই আগ্রহী এবং বাংলাদেশে এ ধরনের বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা মাননীয় অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন কথা শুনলাম।”
ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইল অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা ইউরোপে কোনো অবৈধ বাংলাদেশি থাকুক, সেটা চাই না। আমরা চাই, যারা সেখানে থাকতে চাইবে বৈধভাবে থাকুক। ইতালি থেকে বছরে বাংলাদেশে এক বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স আসছে বলে তারা জানিয়েছে।”
ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশি জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “ইতালিতে বাংলাদেশিদের অনেক চাহিদা। তারা যেসব খাতে কাজ করে খুব ভালোভাবে করে। সে কারণেই তাদের চাহিদা। ইতালির মতো দেশে বাংলাদেশের জনগণ সুনাম অর্জন করেছে। এটাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
“ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদেরকে বিভিন্ন খাতে সাহায্য করার পরিকল্পনা করছে। বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি বাড়ানোর চেষ্টা করবে তারা। ইউরোপ বাংলাদেশের পণ্যের বাজার এবং একই সঙ্গে জনশক্তির বাজার। কীভাবে এটাকে আরও শক্তিশালী করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
পরে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ইকনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের নেতারা।
এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আপনারা জনগণের পক্ষে কাজ করছেন। আমিও জনগণের পক্ষে কাজ করছি। কিন্তু সরকার আমাকে একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি সেটা পরিচালনা করছি। সেটা আমি একা করতে পারব না, সবাইকে নিয়ে করতে হবে। শেষ পর্যন্ত আপনারা-আমরা সবাই বাংলাদেশের জন্য কাজ করছি। দেশের জন্য যেটা ভালো হবে, আমরা সেটাই করব।”