কর সনদ বাধ্যতামূলক না হওয়ায় অনেক বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারের বিকল্প আয় হিসেবে ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ শুরু করেছেন।
Published : 12 Feb 2024, 07:24 PM
ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ হিসেবে সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ ঝুঁকি সবচেয়ে কম বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট- বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ তারেক।
বর্তমানে ট্রেজারি (সরকারি) বিল ও বন্ডের সুদহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে, যা আমানতের সুদহার ও জাতীয় সঞ্চয়পত্রের সুদহারের চেয়েও বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদহার সাড়ে ১১ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যেখানে সঞ্চয়পত্রের সুদহার এখনো সর্বোচ্চ ১১ শতাংশের সামান্য বেশি; আমানতে যা ৮ শতাংশের নিচে।
সোমবার রাজধানীতে এক কর্মশালায় মোহাম্মদ তারেক বলেন, সরকারি খাতে বিনিয়োগ হওয়ায় ট্রেজারি বিলে তুলনামূলক ঝুঁকি প্রায় শূন্য।
“বাজারভিত্তিক সুদের উঠানামা ছাড়া তেমন ঝুঁকি নেই। মেয়াদান্তে মূল বিনিয়োগের পুরোটাই সময়মতো পাওয়া যায় ও নিয়মিত সুদ আসে।”
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং রয়্যাল ক্যাপিটালের যৌথ উদ্যোগে ‘ইনভেস্টিং বেসিকস অব ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মোহাম্মদ তারেক।
পল্টনের আলরাজি কমপ্লেক্সের সিএমজেএফ মিলনায়তনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ট্রেজারি বিল ও বন্ডে আগে ব্যক্তি পর্যায়ে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোটাই ব্যাংকের মাধ্যমে ছিল। এখন ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও বিনিয়োগ সুযোগ চালু হওয়ায় পুঁজিবাজারের যেকোনো বিনিয়োগকারী সহজেই বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারছেন।
শুধু বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) হিসাব থাকলেওই তার মাধ্যমে মোবাইলেও ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাচ্ছে।
প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হচ্ছেন বলে কর্মশালায় জানান রয়্যাল ক্যাপিটালের হেড অব রিসার্চ আকরামুল আলম।
তিনি বলেন, “এখন বিনিয়োগকারীরা মোবাইলেই দেখে নিতে পারছেন কোন কোন বন্ডে বিনিয়োগ করলে সুদ আয় কেমন হতে পারে। অন্যান্য খাতে সুদের হার কমে যাওয়ায় ব্যক্তি বিনিয়েগাকারীরা ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। ধীরে ধীরে এর বাজার বড় হচ্ছে দেশে।”
সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের সীমা ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা হলেও বন্ডে বিনিয়োগের কোনো সীমা রাখেনি সরকার।
সঞ্চয়পত্রের মতো করছাড় সুবিধা বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রয়েছে। কর সনদ বাধ্যতামূলক না হওয়ায় অনেক বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারের বিকল্প আয় হিসেবে ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ শুরু করেছেন।
আকরামুল আলম বলেন, “সব মানুষের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা সমান নয়। কেউ কেউ বেশি রিস্ক নিতে পারেন আবার কেউ কম নিতে পারেন। ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ হতে পারে সরকারি বন্ড।”