মন্ত্রী বলেন, দেশে সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বোরো মৌসুমে সারের কোনো রকম সংকট হবে না।
Published : 23 Jan 2024, 07:26 PM
বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির পাশাপাশি সবজি হিসাবে পেঁপে ও ফুলকপি নিতে রাশিয়া আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
এছাড়া বাংলাদেশে এমওপি সার রপ্তানি অব্যাহত রাখার সদিচ্ছার কথাও জানিয়েছে দেশটি।
২০২২ সালে ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কয়েক মাসের জন্য মিউরেট অব পটাশ বা এমওপি সার সংগ্রহ নিয়ে হিমশিম খেয়েছিল বাংলাদেশ। তড়িঘড়ি করে বিকল্প দেশ হিসেবে কানাডার দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। তবে এক বছরের মধ্যেই রাশিয়া থেকে আবার প্রয়োজনীয় সার, গম আসা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি আরও বাড়ানো এবং ফুলকপি ও পেঁপে আমদানির আগ্রহ দেখিয়েছেন।
“বাংলাদেশের আম সুস্বাদু ও মানসম্পন্ন হওয়ায় এ বছর বেশি পরিমাণ আম নেবে রাশিয়া। ৫০ টন আম নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেশটির। ফুলকপি, পেঁপে নিতেও আগ্রহী দেশটি। এছাড়া, বাংলাদেশে সার রপ্তানি অব্যাহত রাখবে,” বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
বৈঠক প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ বলেন, “রাশিয়া আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা আমাদের বন্ধু আছে, আগামীতেও থাকবেন। রাশিয়ায় আমরা আম, ফুলকপি, পেঁপে প্রভৃতি রপ্তানি করব। কৃষিপণ্যের গুণগতমানে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, আমরা তা অবশ্যই পরীক্ষা করব, পরীক্ষা করে সেগুলো রপ্তানি করব।”
পরে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, দেশে সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বোরো মৌসুমে সারের কোনো রকম সংকট হবে না।
তিনি বলেন, চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ইউরিয়া সারের সম্ভাব্য চাহিদা ৮ লাখ ৮৬ হাজার টন, এর বিপরীতে মজুদ ও সম্ভাব্য পাইপলাইন মিলে মোট ১৩ লাখ ৫১ হাজার টন ইউরিয়া সার আছে। একইভাবে টিএসপির ২ লাখ ৪১ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুদ ৩ লাখ ৮৮ হাজার টন, ডিএপির ৩ লাখ ১৪ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুদ হবে ৪ লাখ ৭৬ হাজার টন এবং এমওপির ২ লাখ ২৩ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুদ আছে ৫ লাখ ২৭ হাজার টন।