শ্রম আইন নিয়ে আইএলওর ‘উদ্বেগ’ সমাধানযোগ্য: আইনমন্ত্রী

“উনাদের (আইএলও) এরিয়া অব কনসার্ন যেটা, আমার মনে হয় না এটার ব্যাপ্তি অনেক। এটা সমাধান করা যাবে বলে বিশ্বাস করি।”

সচিবালয়ে আইএলওর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া সংশোধিত শ্রম আইনের খসড়া নিয়ে আন্তজার্তিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ‘উদ্বেগের’ বিষয়গুলো ‘সমাধানযোগ্য’ বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেছেন, “শ্রম আইনের সংশোধনী মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। সংশোধনীগুলো নিয়ে আইএলওর কিছু বক্তব্য আছে। আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন, আমরা সেটা শুনেছি।

“কিছু কিছু ব্যাপারে আজ সমাধান করে ফেলেছি। আর কিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে আগামী ২২ অক্টোবর ফের আলাপ-আলোচনা বসব।”

সচিবালয়ে মঙ্গলবার আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সংশোধিত শ্রম আইন নিয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা বলেন আইনমন্ত্রী।

শ্রম আইন সংশোধন করে কোম্পানিতে ট্রেড ইউনিয়ন করতে শ্রমিকের স্বাক্ষর ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা এবং যেসব কারখানায় ৩ হাজারের কম শ্রমিক রয়েছে, সেখানে ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষরে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

আনিসুল হক বলেন, “উনাদের (আইএলও) এরিয়া অব কনসার্ন যেটা, আমার মনে হয় না এটার ব্যাপ্তি অনেক। এটা সমাধান করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শ্রমিকদের ধর্মঘট করার সুযোগ এবং শ্রম আদালতের ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এসব বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আগামী রোববার আলাপ করে বলবেন।

“বেশিরভাগ ব্যাপারে উনারা (আইএলও) হ্যাপি। কিছু কিছু এলাকায় যেটা উনারা বলেছেন, সেটা ইন্টারন্যাশনাল বা আইএলওর স্ট্যান্ডার্ডে করতে গেলে এখানে বোধহয় কিছু বিষয়ে স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন। আমরা সেই স্পষ্টীকরণের জন্য আগামী রোববার বসব।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েও কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “সংবিধানে কিন্তু কোথাও নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা নেই। এটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন তার কতজন মন্ত্রী নির্বাচনকালীন সময়ে প্রয়োজন, কতজন না। যদি তার সকলের প্রয়োজন থাকে সকলেই থাকবেন। আর যদি তিনি মনে করেন তিনি ছোট আকারে করতে পারেন সেটা তার ইচ্ছা। সংবিধান তাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।”

অক্টোবরে জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংসদে আইন পাসের পাশাপাশি সবকিছু আলোচনা হতে পারে।