ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সরবরাহ বন্ধ করে রাখা সাগরে ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল এখন পূর্ণমাত্রায় গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে।
এর প্রভাবে রোববার এলএনজি থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে ৯৪০ থেকে ৯৫০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ হয়েছে বলে পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
পেট্রোবাংলার গত শনিবারের গ্যাস সরবরাহ প্রতিবেদনের দেখা যায়, ওইদিন আগের মতোই জাতীয় সঞ্চালন লাইনে ২৮১৯ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা গেছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিস সম্পদ প্রতিমন্ত্রী রোববার ফেইসবুকে লেখেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা এবং গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ) শনিবার রাত ১১টায় সফলভাবে পুনঃসংযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে দু’টি এফএসআরইউ থেকে পূর্ণমাত্রায় জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।
কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূলে স্থাপিত দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের সরবরাহ সক্ষমতা মোট ১০০০ (৫০০+৫০০) এমএমসিএফডি।
ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানার আগের দিন ১২ মে রাতে সতর্কতামূলকভাবে পাইপলাইন থেকে সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এই ঘটনায় একটি টার্মিনাল গভীর সমুদ্রের দিকে ভেসে গেলেও আরেকটি নিজ অবস্থানেই ছিল। তবুও ঝড়ের দিন শনিবার ও পরের দিন রোববার টানা দুদিন বন্ধ ছিল এলএনজি সরবরাহ।
গত সোমবার পুনরায় এলএনজি সরবরাহ শুরু হলেও সেখান থেকে সর্বোচ্চ ৫৫০ এমএমসিএফপি গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছিল।
এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকায় গত সপ্তাহ জুড়ে গ্যাস-বিদ্যুতের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল সারাদেশের গ্রাহকদের। গ্যাসের অভাবে বিদ্যুতের উৎপাদন ৯ হাজার মেগাওয়াটে নেমে এসেছিল যদিও সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৩ হাজার মেগাওয়াটের কিছু বেশি। ঘোষণা দিয়ে বাসাবাড়ি ও শিল্প-বাণিজ্যের গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল কিংবা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
দেশে গরম ও সেচ মওসুমে দৈনিক ৩৫০০ থেকে চার হাজার এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদা রয়েছে বলে এই খাতের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা মনে করেন। তবে সর্বোচ্চ ২৯০০ থেকে ৩ হাজার এমএমসিএফডি সরবরাহের মাধ্যমে জ্বালানি চাহিদার জোগান দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও গ্যাসের অভাবে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না।