‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২২’ এর খসড়ায় এমন বিধান রাখা হয়েছে, যা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
Published : 12 Dec 2022, 06:38 PM
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি লেজিসলেটিভ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকেও অর্থ ব্যয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে সম্মতি নিতে হবে।
এমন বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২২’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন অর্থ ব্যয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিতে হয়।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সভার বিষয়ে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, "২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া সরকারি কর্মচারী আইনে একটা জিনিস পরিষ্কার ছিল না। আইনে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে অর্থনৈতিক বিষয়ে কী হবে সেই বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ ছিল। কিন্তু স্বায়ত্তশাসিত, লেজিসলেটিভ বিডি যেগুলো, যেমন- দুর্নীতি দমন কমিশন, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি এদের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি পরিষ্কার ছিল না।
"এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয় বিষয়টি উত্থাপন করেছিল। তারা বলেছিল, তাদেরও বেশির ভাগ ব্যয় সরকারি তহবিল থেকে হয়। সুতরাং তাদের বিষয়েও অর্থ বিভাগের একটা অথরিটি থাকতে হবে।"
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, "সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৮৪, ৮৫ ও ৮৬ এ বলা আছে, রাষ্ট্রের যত ব্যয় আসবে সব একটা অ্যাকাউন্টে আসবে, একটা অ্যাকাউন্ট থেকেই খরচ করা হবে। যেটাকে আমরা ট্রেজারি বলি। এ ট্রেজারির সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলো অর্থ বিভাগ। সুতরাং খরচের ক্ষেত্রে যেন অর্থ বিভাগের এখতিয়ার থাকে।
"যদি কোন করপোরেশন বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের মত বেতন-কাঠামো ঠিক করে নেয়, তাহলে তো হবে না। সেজন্য যে কোনো অর্থনৈতিক বিষয় হলে অর্থ বিভাগের কাছ থেবে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে নিতে হবে। এ জন্যই আইনটির মধ্যে এ ছোট কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন আনা হয়েছে।"