আহসান মনসুরকে গভর্নরের দায়িত্ব দিতে সরকারকে বাংলাদেশ ব্যাংক আইনও পরিবর্তন করতে হচ্ছে।
Published : 13 Aug 2024, 06:11 PM
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পদের জন্য প্রবীণ অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুরকে বেছে নিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা আহসান মনসুরকে গভর্নরের দায়িত্ব দিতে সরকারকে বাংলাদেশ ব্যাংক আইনও পরিবর্তন করতে হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্তমান আইনে ৬৭ বছরের বেশি বয়সী কারো গভর্নর পদে থাকার সুযোগ নেই। সে কারণে প্রায় ৭৩ বছর বয়সী আহসান এইচ মনসুরকে ওই দায়িত্ব দিতে আইনটি সংশোধন করতে হচ্ছে।
গভর্নর নিয়োগে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পেয়েছে। এখন রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিলে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।
এর আগে সাবেক গভর্নর ফজলে কবিরকে দ্বিতীয় মেয়াদে গভর্নর নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে প্রথমবার আইন সংশোধন করা হয়েছিল। সেবার গভর্নর নিয়োগে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৬৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৭ বছর করা হয়।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করা আহসান মনসুর বাংলাদেশের ত্রয়োদশ গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। ব্র্যাক ব্যাংকের সাবেক এই চেয়ারম্যান পিপিপি প্রকল্প নীতিমালা তৈরিতে সরকারের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে লেখাপড়া করা আহসান মনসুর শিক্ষক হিসেবে সেখানেই পেশাজীবন শুরু করেছিলেন। কিছুদিন পর অর্থনীতিতে উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা চলে যান। ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর এবং ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন।
পিএইচডি চলাকালীন ১৯৮১ সালে তিনি অর্থনীতিবিদ প্রোগ্রামের অধীনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে যোগ দেন।
আইএমএফে দীর্ঘ কর্মজীবনে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, আফ্রিকা এবং মধ্য আমেরিকার দেশগুলিতে তিনি কাজ করেছেন। আইএমএফের ফিসকাল অ্যাফেয়ার্স এবং পলিসি রিভিউ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগেও কাজ করেছেন।
দ্বিতীয় দফায় ১৯৯৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়া বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন আহসান মনসুর।
মাঝে ১৯৮৯ সালে তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী ওয়াহিদুল হকের অর্থ উপদেষ্টা হন এবং ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে মূল্য সংযোজন কর প্রবর্তনের ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা ছিল।