দেশের ব্যাংকগুলোর উচ্চ সুদের হারকে বিনিয়োগের জন্য বড় বাধা উল্লেখ করে তা কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন বর্তমান ও সাবেক দুই পরিকল্পনামন্ত্রী।
Published : 14 Dec 2014, 10:19 PM
রোববার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে সুদহার নিয়ে সমালোচনা করেন তারা।
বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান এসএ সামাদের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন সরকারি হিসাব কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
তিনি বলেন, “উচ্চ সুদের হার বিনিয়োগে বড় বাধা। বর্তমানে ব্যাংকগুলো শিল্পঋণে যে হারে সুদ নিচ্ছে, তাতে খুব কম উদ্যোক্তাই নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়তে পারে। ”
ব্যাংক ব্যবস্থায় সংস্কারের পরামর্শ দিয়ে সরকারি হিসাব কমিটির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বলেন, “আমাদের রাজস্ব ও মুদ্রানীতির মধ্যে সমন্বয় জরুরি। সরকারের সম্প্রসারণশীল অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে মুদ্রানীতির সমন্বয় নেই।”
সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, “অন্যান্য দেশে সুদের হার ২ থেকে ৪ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে আমানত ও ঋণের সুদের হারের ব্যবধান (স্প্রেড) ৫ শতাংশের বেশি।
সুদের হার কমাতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যাংকগুলো যে হারে সুদ নিচ্ছে, তাতে খুব কম উদ্যোক্তাই ঋণ নিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়তে পারে।
সুদহার কমাতে ব্যাংক, সিকিউরিটিজ, পুঁজিবাজার ও আর্থিক খাতের সমন্বিতভাবে কাজ করার উপর জোর দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, “টাকা ডলারের বিনিময় হারও পর্যালোচনা করা দরকার। তথাকথিত অনুকুল বিনিময় হার রাখার দরকার আছে কি না- সেটা আমার প্রশ্ন।
“আমি মনে করি এতে রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, টাকার মান ইতিবাচক না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না, আবার মুল্যস্ফীতি বাড়বে।
তিনি বলেন, দেশের মোট বাজেটের এক তৃতীয়াংশ উন্নয়নে ব্যয় হয়। কিন্তু বাজেটের বড় একটি অংশই বিনিয়োগে যায় না। এখাতে সবারই নজর দেওয়া উচিত।
উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে জ্বালানি নীতির সমন্বয় নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় আয়ের দ্বিগুন হারে জ্বালানি উৎপাদন করতে হবে।
বিকালে বিয়াম মিলনায়তনে ‘হারমোনাইজেশন অব ইকোনোমিক পলিসি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বিনিয়োগ বোর্ড।
এতে আরো অংশ নেন দৈনিক অর্থনীতির সম্পাদক জাহিদুজ্জামান ফারুক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সদস্য আরিফ খান।